আজকের খবর

বঙ্গবাজারে বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে ফারাজ করিম চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

বুধবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৩
বঙ্গবাজারে বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে ফারাজ করিম চৌধুরী
বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাড়িয়েছে তরুণ রাজনীতিবিদ ফারাজ ক‌রিম চৌধুরী। ঢাকার বঙ্গবাজারে শেষরাতে তিনি অবস্থান করে, তুলে ধরেছেন সেখানকার বিধ্বস্ত অবস্থা। আহ্বান করছেন সকলকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য। আর্থিক ভাবে সহায়তা না করতে পারলেও দোয়া যেন করেন সবাই। বঙ্গবাজারে আগুন লাগার ফলে পাঁচ-ছয় হাজার দোকান পুড়ে সম্পূর্ণ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। কোটি কোটি টাকার মালামাল পুরে ছাই হয়ে গেছে ব্যবসায়ীদের। মূলত ঈদের আগে এই অগ্নিকাণ্ডে সর্বস্বান্ত হয়েছেন দোকানিরা। এতো বিপুল পরিমাণ আর্থিক কষ্টের খেসারত দেয়া কারও পক্ষেই সম্ভব না।

তারপরও যার যার সামর্থ অনুযায়ী সাহায্য করার জন্য বলছেন ফারাজ। সেটা হতে পারে যাকাতের টাকাও। সেই টাকা নিজে দায়িত্ব নিয়ে বিপদগ্রস্ত মানুষের হাতে পৌঁছে দিতে চান ফারাজ করিম চৌধুরী। যে কারণে তিনি এজেন্ট নাম্বারও দিয়েছেন। আবারও ছোটো কাটো ব্যবসায়ীদের ব্যবসার সুযোগ করে দিতে চান তিনি। 

মানবিক কাজে নিজেকে বিলিয়ে দেন এই তরুণ। একের পর এক ব্যতিক্রমী কর্মকাণ্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুলে ধরে গোটা দেশেজুড়ে অর্জন করেছেন তুমুল জনপ্রিয়তা।ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ার অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি।ছুটে গেছেন সুদূর তুরস্কে। গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত তুরস্কে অবস্থান করেন তিনি। সেখানে তার মানবিক কাজে দেশের অসংখ্য মানুষ সাড়া দিয়েছেন। দেশ থেকে পাঠানো হয় বিভিন্ন ধরনের শীতবস্ত্র, কাফনের কাপড়সহ নানা ধরনের পণ্য। সব মিলিয়ে ৩ কোটি টাকার সামগ্রী পাঠানো হয় তুরস্কে। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ফারাজ করিম চৌধুরী।

ইতোপূর্বে মিয়ানমারের নির্যাতিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি ফিলিস্তিনের নিরীহ মুসলমানদের পাশে।দেশের যেখানেই মানবিক বিপর্যয় ঘটে, সেখানেই আশার আলো হয়ে দেখা মিলে মানবিক তরুণ ফারাজ করিম চৌধুরীর। এখানেই শেষ নয়, তিনি কখনো কখনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাজনীতি, সমাজের নানা অবিচার, অসঙ্গতি তুলে ধরেন ফেসবুক লাইভ কিংবা ভিডিও আপলোড দিয়ে। কখনো সশরীরে গিয়ে অন্যায়-অবিচারের সমাধান দেন। অনেক সময় রাগী ফারাজকে দেখা যায়। যে কারণে, প্রশ্ন উঠেছে ফারাজ করিম চৌধুরী কি অনেক রাগী? 

তবে রাগী কিনা এ বিষয়ে নিজেকে বিবেচনা করতে চান না তিনি। তার উচ্চস্বরের আওয়াজ তার একার আওয়াজ নয়। অনেক অসহায় মানুষের জমে থাকা আর্তনাদ যা তারা চিৎকার করে প্রকাশ করতে পারে নি। সেই সব বিষয় যখন বাতাসে ভেসে আসে ফারাজের কানে তখন তার গলা দিয়ে বের হয়।বয়স ২৯ পেরোয়নি এখনো। এই বয়সেই মানবিক গুণাবলী নিয়ে সবার নজর কাড়ছেন তিনি। 

ছোটবেলা থেকেই তিনি মানবিক ছিলেন। একদিন নিজের অসংখ্য নতুন কাপড় বাসার ওয়ারড্রবে পড়ে থাকতে দেখে সেসব কাপড় নিয়ে ছিন্নমূল শিশুদের মাঝে বিতরণ করে আসেন। এভাবেই ছোট থেকে দারিদ্র্যের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার জন্ম হয় তার।পারিবারিক ভাবে উচ্চ শিক্ষিত, ধনী পরিবারের সন্তান তিনি। চার চারবারের নির্বাচিত সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী তার বাবা। তবে বাবার সুনাম ধারণ করে নয়, নিজর কর্মে-পরিচিতিতে এগিয়ে যেতে চান ফারাজ।