জোরালো ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো গোটা দেশ। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ৫.৫ হলেও এর কম্পনটা টের পেয়েছে দেশের বেশিরভাগ মানুষ। কারণ, এর উৎপত্তিস্থল ছিল বাংলাদেশের মধ্যেই। লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার ৫.৫ থেকে ৮.৫ কিলোমিটারের মধ্যে ছিল এর উৎপত্তিস্থল।
চলতি বছরে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ১০টি হালকা ও মাঝারি ধরনের ভূমিকম্প হয়েছে। ঘন ঘন দেশের ভূ-পৃষ্ঠ কেঁপে উঠায় বড় ধরনের ভূমিকম্পের আভাস দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আর তাতে আরও জোরালো হচ্ছে একটি প্রশ্ন, বড় কোনো ভূমিকম্পের কবলে পড়তে যাচ্ছে কি না দেশ।
আর তাই, মানুষের মনে দানা বাঁধছে এমন প্রশ্নও— ভূমিকম্প কি আগে থেকে টের পাওয়া যায়? ইউএসজিএসের ভাষ্য, সংস্থাটি কিংবা অন্য কোনো সংস্থার বিজ্ঞানীরা কখনও বড় ভূমিকম্প নিয়ে পূর্বাভাস দেননি।
ইউএসজিএসের বিজ্ঞানীরা বলেছেন, নির্দিষ্ট কয়েক বছরের মধ্যে কোনো এলাকায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকম্পের সম্ভাব্যতা নিয়ে তারা হিসাব-নিকাশ করতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্রের আরেক নামী প্রতিষ্ঠান ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (ক্যালটেক) মতে, ঠিক কখন এবং কোথায় ভূমিকম্প হবে, সেটা আগে থেকে ধারণা করা সম্ভব নয়। ভূমিকম্প কতটা ব্যাপক হবে, তা নিয়েও পূর্বাভাস দেয়া যায় না।
একই প্রশ্নের জবাবে ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদী হাসান আনসারী বলেন, আগে থেকে ভূমিকম্পের বিষয়ে অনুমান করা যায় না।