মহামারি প্রতিরোধে বৈশ্বিক সহযোগিতা কাঠামো তৈরি করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, কোভিড-১৯ মহামারি বিশ্বের জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে হাজির হয়েছে। এই মহামারিতে বিশ্ববাসী অনেককে হারিয়েছে।
তাই সামনে যেন এমন পরিস্থিতি আর তৈরি না হয়, সেজন্য অতীতের ভুলগুলো সুধরে বিশ্বকে সম্মিলিত শিক্ষা নেয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতিসংঘ সদর দফতরের সম্মেলন কক্ষে বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) মহামারি প্রতিরোধ, প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া বিষয়ে ৭৮তম ইউএনজিএ'র উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠক মহামারি প্রতিরোধে পাঁচটি অগ্রাধিকার তুলে ধরে ভাষণ দেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভাষণে সরকার প্রধান বলেন, করোনা পরিস্থিতি বিশ্বকে বুঝিয়ে দিয়েছে, প্রকৃতির একটি নিজস্ব সীমা রয়েছে। তাই প্রকৃতি থেকে শুরু করে সবাই নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত বিশ্বের কেউই নিরাপদ নয়।
পাঁচ অগ্রাধিকারের বিষয়ে তিনি বলেন, বিশ্বকে অবশ্যই উত্তম চর্চা বাড়িয়ে অতীতের ভুলগুলো শুধরে সম্মিলিত শিক্ষা নিতে হবে। এছাড়া যেকোনো মহামারিতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর স্বাস্থ্যব্যবস্থা শক্তিশালী করতে রেয়াতযোগ্য আন্তর্জাতিক অর্থায়নের ব্যবস্থা রাখতে হবে। একইসাথে মহামারি প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট পণ্যগুলোর ন্যায়সঙ্গত অবাধ প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে বলেও জানান শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯ পুরুদ্ধারের ক্ষেত্রে বৈশ্বিক সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। তাই শুরু থেকে জীবন বাঁচাতে ও জীবিকা রক্ষায় সরকার পরিকল্পিত ভারসাম্য বজায় রেখে কাজ করেছে। এ সময় দেশের ৪ কোটিরও বেশি নিম্ন আয়ের মানুষকে সরাসরি খাদ্য সহায়তা দেয়াসহ সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।