গণমাধ্যম

ঘূর্ণিঝড় রেমাল দেখতে কক্সবাজার সৈকতে ভিড়, তীব্র ঢেউয়ের সাথে বেড়েছে বাতাসের গতি

স্টাফ রিপোর্টারঃ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

রবিবার, ২৬ মে, ২০২৪
ঘূর্ণিঝড় রেমাল দেখতে কক্সবাজার সৈকতে ভিড়, তীব্র ঢেউয়ের সাথে বেড়েছে বাতাসের গতি
কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি :ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একারণে বেড়েছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ঢেউ এবং বাতাসের তীব্রতা।
শনিবার (২৫ মে) কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে লাল-হলুদ পতাকা নামিয়ে লাল পতাকা টাঙানো হয়েছে। লাল পতাকার অর্থ হচ্ছে সমুদ্র নামলেই বিপদ। বিদপ সংকেত বুঝাতে টাঙানো হয়েছে লাল পতাকা। কিন্তু এ নির্দেশনা না মেনে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমেছে অনেক পর্যটক। 
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা এবং লাবণী পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, স্থানীয়রা ঘুর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব দেখতে সমুদ্র সৈকতে এসেছেন। আবার অনেক পর্যটক গোসলে নেমেছে নির্দেশনা না মেনে। অনেকেই আবার পাড়ে দাঁড়িয়ে দেখছে সমুদ্র সৈকতের পরিস্থিতি। 
তাদেরই একজন সৈকতের লাবণী পয়েন্টে গাজীপুর থেকে আসা পর্যটক কামরুল ইসলাম বলেন, "আমরা অনেক দূর থেকে এসেছি। গোসলে তো নামতেই হবে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সমুদ্র সৈকতে আসলাম। ঘূর্ণিঝড় আসলেও আমরা টাকা খরচ করে এসেছি আনন্দ মিস করা যাবে না"
আরেক পর্যটক মোহাম্মদ ইয়াছিন বলেন, আমি আসলাম গোসল করতে, কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের কথা শুনে আর সমুদ্রে নামছি না। সকলকে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। নির্দেশনা না মানলে আমরাই বিপদে পড়ব। এজন্য সমুদ্রে না নেমে দূর থেকেই উপভোগ করছি।
পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে লাইফগার্ড কর্মীদের। সিনিয়র লাইফগার্ড জয়নাল আবেদীন ভুট্টো বলেন, "অনেক পর্যটককে আমরা বাঁধা দিলেও তা মেনে নেমে যাচ্ছে। আমরাতো পর্যটকদের সাথে খারাপ ব্যবহার করতে পারি না। আমরা সুন্দর করে ভালো ব্যবহারের মাধ্যমে পর্যটকদের তুলে দিচ্ছি। নিরাপদ লাল-হলুদ পতাকার বদলে বিপদসংকেত বুঝাতে লাল পতাকা টাঙানো হয়েছে। আমরা প্রস্তুত আছি"
এদিকে শনিবার (২৫ মে) আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-৭) বলা হয়েছে, পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তরদিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (১৮.২০ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.৮০ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি আজ (২৫ মে) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫০০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৩৫ কি.মি.দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৭৫ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪২৫ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।