গণমাধ্যম

মাহফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২২
মাহফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা

জনপ্রিয় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলার কর্ণধার এবং এটিএন মিউজিক লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান এবং খ্যাতনামা ঢাকা ব্যান্ডের সঙ্গীত শিল্পী মাকসুদুল হক ম্যাকের নামে প্রতারণা আইনে মামলা হয়েছে।


সোমবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নূর মো. আল মাসুদ নয়ন বাদি হয়ে এ মামলাটি করেন। আগামী ৩০ মে মামলাটির পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।


মামলার এজাহারে বাদি অভিযোগ করেন, তিনি ‍“কান্দে কৃষ্ণ মন (কেনো এলেনা)” নামে একটি গান লিখেছেন এবং সুর করেছেন। যা পরবর্তীতে প্রচলিত আইন অনুসারে তিনি কপিরাইট পেয়েছেন। শিল্পী মাকসুদুল হক ম্যাক গানটি তার “মা আরাফতের পতাকা” নামক এ্যালবামে গেয়েছিলেন। যা ড. মাহফুজুর রহমানের এটিএন মিউজিক লিমিটেডে প্রচারিত হয়।


এজাহারে নূর মো. আল মাসুদ আরও অভিযোগ করেন, নিজের গানের রয়েলিটির চেয়ে গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর তিনি শিল্পী মাকসুদুল হক ম্যাক ও ড. মাহফুজুর রহমানকে আইনি নোটিশ পাঠান। ওই বছরের ১০ অক্টোবর নোটিশের জবাব দেন ড. মাহফুজুর রহমান। যেখানে মাহফুজুর রহমান দাবি করেন, মাকসুদুল হক ম্যাকে “মা আরাফতের পতাকা” এ্যালবামের গানগুলো এটিএন মিউজিক লিমিটেডের মাধ্যমে ক্যাসেট, অডিও সিডি ও ভিসিডি আকারে তৈরি করে বাজারজাত করা হবে এবং এই এ্যালবামের গানগুলোর রয়েলিটিসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে তারা নিজেদের মধ্যে ২০০৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। অথচ প্রচলিত আইন অনুযায়ী, গানের প্রকৃত মালিক হলো সুরকার ও গীতিকার। এখানে গানের সুরকার ও গীতিকার বাদী নিজে। কিন্তু মাকসুদুল হক ম্যাক ও মাহফুজুর রহমান গানের প্রকৃত মালিকের অনুমতি না নিয়ে এই চুক্তি করে প্রতারণা করেছেন।

এজাহারে অভিযোগ করা হয়, মাহফুজুর রহমান ও ম্যাকের মধ্যে হওয়া এই চুক্তির বিষয়ে আইনি নোটিশের মাধ্যমেই জানতে পারেন বাদি নূর মো. আল মাসুদ। এর আগে এই চুক্তি সম্পর্কে কোনো ধারণাই ছিল না তার। বাদির অনুমতি না নিয়ে এই ধরনের চুক্তি প্রতারণার উদ্দেশ্যেই করেন তারা এবং ম্যাক এই চুক্তির দোহাই দিয়ে নিজের দায় এড়িয়ে যেতে চাইছেন।


নূর মো. আল মাসুদ অভিযোগ করেন, পরবর্তীতে তিনি এই বিষয়ে মাহফুজুর রহমান ও ম্যাকের সাথে একাধিকবার সরাসরি যোগাযোগের চেষ্টা করে সফল হননি। পরে তিনি এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ করলে কর্তব্যরত কর্মকর্তা অজ্ঞাত কারণে ম্যাক ও মাহফুজুর রহমান বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ করেননি। তাই নিরুপায় হয়ে তিনি আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন।