লাইফস্টাইল

পাঁচ মেয়ে নিয়ে ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদির সুখের সংসার

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

রবিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২৩
পাঁচ মেয়ে নিয়ে ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদির সুখের সংসার


পাঁচ মেয়ের বাবা হয়ে নিজেকে খুব সৌভাগ্যমান মনে করেন, পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার শহীদ খান আফ্রিদি।

নারীদের মধ্যে পৃথিবী বদলে দেয়ার সামর্থ আছে বলে বিশ্বাস করেন আফ্রিদি। নিজের আত্মজীবনীমূলক বই ‘দ্য গেম চেঞ্জার’-এ, মেয়েদের নিয়ে অনেক কিছুই লিখেছেন তিনি।

নিজের ফর্মহীনতা থেকে ফিরে আসা, ক্রিকেট মাঠ ও মাঠের বাইরে নিজের ভাগ্যের উন্নতি, সব কিছুর পেছনে নিজের মেয়েদের ভূমিকা দেখেন সব সময়।

আফ্রিদি জানান, তিনি খুব সৌভাগ্যবান যে, তার কাছে আল্লাহর রহমত আছে। প্রতিটি মেয়ের জন্মের পর তিনি নিজের ভাগ্য বদল হতে দেখেছেন।’

আরো বলেন, তার স্ত্রীও এটা জানেন যে, তিনি তার মেয়েদের নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট এবং তাদেরকে সীমাহীন ভালোবাসেন। এজন্য স্ত্রী নাদিয়াও বেশ নিশ্চিন্ত।

মেয়েরাও আফ্রিদিকে ভীষণ ভালোবাসে। তারা জানায়, বাবা সবসময় তাদের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখেন। কোনো আবদারই তিনি অপূর্ণ রাখেন না।

গত বছরের শেষে নাসির নাসের নামে এক পাকিস্তানি যুবকের সাথে, বড় মেয়ে আকসা আফ্রিদির বিয়ে দেন।

দ্বিতীয় মেয়ে আনশা আফ্রিদির বিয়ে ঠিক হয়ে আছে আগে থেকেই। পাকিস্তান দলের সেরা পেসার, শাহিন শাহ আফ্রিদির সাথে আনশার বাগদান সম্পন্ন হয়েছে।

আগামী ৩রা ফেব্রুয়ারি ২২ বছর বয়সি এ পেসারের সাথে বিয়ে হবে আনশা আফ্রিদির। বহুল আলোচিত এ বিয়ের আসর বসতে চলেছে পাকিস্তানেই। 

তবে এখন ঘরোয়া পরিবেশেই হবে সবকিছু। বড় পরিসরে বিয়ের অনুষ্ঠান হবে ২০২৩ সালের শেষের দিকে। এছাড়া বিয়ের পরপরই ক্রিকেটে ফিরতে পারেন শাহিন, জানা গেছে এমনটাও। 

আনসাকে বহুদিন ধরেই করতেন শাহিন। সেই কথা জানতে পেরে, সাবেক তারকা অলরাউন্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন শাহিনের পরিবার।

প্রথমে রাজি না থাকলেও, পরে মেনে নেন বুম বুম আফ্রিদি। দুই পরিবারের সম্মতিতেই আনসা ও শাহিনের বাগদান সম্পন্ন হয়।

২০১৮ সালের ৩১ মে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করেন শহীদ আফ্রিদি। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত, ২০ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে পাকিস্তানের হয়ে ২৭টি টেস্ট, ৩৯৮ টি oneday  আর ৯৯টি T20  খেলেছেন তিনি।

পাকিস্তান তো বটেই, বিশ্ব ক্রিকেটেরই অন্যতম জনপ্রিয় এক নাম শহীদ আফ্রিদি। একসময় আফ্রিদি মানেই ছিলো উন্মদনা।

‘বুম বুম’ খ্যাত এ অলরাউন্ডার একা হাতেই পাকিস্তানকে বহু ম্যাচ জিতিয়ে দিয়েছেন। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও ক্রিকেট সমর্থকদের কৌতূহল কম ছিল না।

মাত্র ২০ বছর বয়সে মামাতো বোনকে বিয়ে করেছিলেন, পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার শহীদ খান আফ্রিদি। তার স্ত্রীর নাম নাদিয়া। 

২০০০ সালের ২২ অক্টোবর তাঁরা একে অপরকে বিয়ে করেছিলেন। দাম্পত্য জীবনের ২১টি বছর পার করেও, তাদের ভালোবাসায় যেন কমতি নেই এতোটুকুও। বরং পাঁচ মেয়েকে নিয়ে বেশ সুখেই সংসার করছেন দুজন।

সংসারের পাশাপাশি ক্রিকেটাঙ্গনেও কাজ করে যাচ্ছেন আফ্রিদি। কিছু দিন আগেই পাকিস্তানের অন্তবর্তীকালীন প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি।

আর দায়িত্ব পেয়েই একের পর এক নতুন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। পাকিস্তানের ক্রিকেটকে ঢেলে সাজাতে চান আফ্রিদি।

পাকিস্তানের এ প্রাক্তন অলরাউন্ডারের ইচ্ছা, তাঁর কার্যকালের মধ্যেই যেন বদলে যায় দেশের ক্রিকেটের চেহারা।