ইরানের বন্দর আব্বাসের শহিদ রাজি বন্দরে গত শনিবার ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, যা এখন পর্যন্ত ৪০ জনের মৃত্যু এবং ১২০০ জনের বেশি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিস্ফোরণের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে ইরানের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সেরাজ। তিনি দাবি করেছেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে কনটেইনারে বিস্ফোরণ রাখা হয়েছিল এবং দূর থেকে স্যাটেলাইট বা টাইমারের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
এই বিস্ফোরণটি একটি দুর্ঘটনা ছিল না বলেও দাবি করেছেন ইরানের এই সংসদ সদস্য। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইস্কান্দর মোমেনি জানিয়েছেন, শনিবার দুপুর ১২টা ৪ মিনিটে একটি ছোট আগুন দেখা গিয়েছিল, যা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং কনটেইনারে পৌঁছে বিস্ফোরণ ঘটায়। তবে আগুনের উৎস এখনও পরিষ্কার নয়।
ইরানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মুখপাত্র হোসেন জাফারি জানিয়েছেন, কনটেইনারে থাকা রাসায়নিক বস্তুর কারণে এই বিস্ফোরণ ঘটে। এই ঘটনায় বিষাক্ত ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ায় উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, এটি প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূর থেকেও অনুভূত হয়েছে।
এদিকে, ইরানি বার্তাসংস্থা ইরনা জানিয়েছে, বিস্ফোরণটি ঘটেছে ইরানের অন্যতম আধুনিক সামুদ্রিক বন্দর শহিদ রাজি বন্দরে, যা হরমুজগানের প্রাদেশিক রাজধানী বন্দর আব্বাস থেকে ২৩ কিলোমিটার পূর্বে এবং হরমুজ প্রণালির উত্তর দিকে অবস্থিত। এই বন্দরটি বিশ্বের মোট তেলের পাঁচ ভাগের এক ভাগ পরিবহন করে।
বিস্ফোরণটি এমন এক সময়ে ঘটল যখন ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা তীব্র হয়েছে। এই ঘটনাটি আন্তর্জাতিকভাবে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উপর এর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে।