বিনোদন

হুট করে বিয়ে করে হাজারো তরুণীর মন ভাংলেন সালমান মুক্তাদির।

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

মঙ্গলবার, ২ মে, ২০২৩
হুট করে বিয়ে করে হাজারো তরুণীর মন ভাংলেন সালমান মুক্তাদির।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও ইউটিউবার সালমান মোহাম্মদ মুক্তাদির বিয়ে করেছেন। 

ইউটিউবার থেকে তারকা হয়ে ওঠা সালমান মুক্তাদির সবসময় আলোচনায় থেকেছেন একাধিক প্রেম নিয়ে। প্লে-বয় তকমাটা তার নামের সঙ্গে জুড়ে গিয়েছিল।
তবে এবার প্লে-বয় ইমেজ থেকে বেরিয়ে আসলেন সালমান। থিতু হলেন এক নারীতে।

আজ  ২ মে সকালে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে তিনি তাঁর সদ্য বিবাহিত স্ত্রীর সঙ্গে বেশ কয়েকটি ঘনিষ্ঠ ছবি শেয়ার করে নিজের বিয়ের ব্যাপারটি সবাইকে জানিয়েছেন। তবে নিজের স্ত্রীর পরিচয় প্রকাশ করেন নি তিনি।  

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবিগুলো পোস্ট করে তিনি ক্যাপশনে লিখেন, “The end of “Salman Muqtadir” ক্যাপশনে তিনি আরও লিখেন, “বাকিটা জীবনের জন্য আমার প্রিয় স্ত্রী।”। 

একপ্রকার লোকচক্ষুর আড়ালেই তিনি গত ৩০ এপ্রিল বিয়ের পিড়িতে বসেন। কোন রকম জাঁকজমক অনুষ্ঠান ছাড়াই মিরপুর ডিওএইচএস সেন্ট্রাল মসজিদে শরিয়া মোতাবেক বিয়ে করেন তিনি। 

তবে এটা নিশ্চিত এভাবে হুট করে বিয়ে করে হাজারো তরুণীর মন ভেঙ্গে দিয়েছেন সালমান। ছবি গুলো শেয়ার করার পর হাজারো তরুণী কমেন্ট সেকশনে নিজের মন ভেঙ্গে যাওয়ার খবর জানাচ্ছেন। 

তবে সদ্য বিবাহিত সালমানকে অভিনন্দন জানাতে ভুলছেন না তাঁর ভক্ত, বন্ধুবান্ধব, আত্নীয় স্বজনরা। 

বিয়ে নিয়ে সালমান মুক্তাদির অবশ্য কয়েকদিন আগেই একটি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে গত ২৬শে এপ্রিল  মজা করে লিখেছিলনে, ‘ কল্পনা করুন একদিন আপনি দেখবেন সালমান মুক্তাদির স্থির হয়ে সংসারী হয়ে গেছে এবং একটি পরিবার শুরু করেছে। সেই সাথে স্বাভাবিক আচার ব্যাবহার করছে, এমনকি বাজে কোনো অভ্যাসও নেই। তাঁর ভালো চরিত্রের পাশাপাশি দুইটি বাচ্চাও আছে!, কল্পনা বন্ধ করুন, এটি “আয়মান সাদিক”!

তবে মজার ছলে করা সেই পোস্ট যে সিরিয়াস হয়ে যাবে সেটা কেউই হয়তো ঘুণাক্ষরে টের পান নি। 

কদিন আগেই রাজধানীতে এক ইফতার পার্টিতে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে সালমান নিজের বিয়ের ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘আমি আয়মান সাদিকের জন্য অপেক্ষা করছি। ফ্রেন্ড সার্কেলের মধ্যে ও এখনো বিয়ে করেনি। ও বিয়ে করলেই তারপর আমি বিয়ে করব। ওর বিয়েটা হলে আমি আমার দায়িত্বটা নিতে পারব আর কি।’

আর কেমন পাত্রী চান সে ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তাঁর উত্তর ছিলো, ‘বিয়ের জন্য পাত্রী একদমই প্রেফার করে না। আমার যদি কারো সঙ্গে থেকে ভালো লাগে, কথা বলে ভালো লাগে; ও যদি আমাকে বোঝে, আমি যদি তাঁকে বুঝি আর রিসপেক্টটা সব থেকে বেশি ইমপর্ট্যান্ট। রিসপেক্ট না থাকলে একটা মানুষের সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পর্ক ধরে রাখা যায় না।’

সেই আলাপচারিতার অল্প কদিনের ব্যবধানে সালমান তাঁর পছন্দমতো কাউকে পেয়ে গেছেন। পেয়ে গেছেন ভালো লাগার মতো, তাঁকে বোঝার মতো, সম্মান করার মতো ও সারাজীবন আগলে রাখার মতো মানুষটাকে।