সারাদেশ

নাগেশ্বরীতে ফার্নিচার শ্রমিক ইউনিয়নের মে দিবস পালিত

স্টাফ রিপোর্টারঃ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

বুধবার, ১ মে, ২০২৪
নাগেশ্বরীতে ফার্নিচার শ্রমিক ইউনিয়নের মে দিবস পালিত
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃসারাদেশের ন্যায় কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে পালিত হয়েছে মহান মে দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে "শ্রমিক-মালিক গড়ব দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ।"
এই প্রতিপাদ্য নিয়ে নাগেশ্বরীতে ১মে বুধবার  সকাল ১০ ঘটিকায় ফার্নিচার,দর্জি শ্রমিক ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন সংগঠন গুরুত্ব সহকারে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়কে বর্ণাঢ্য র‍্যালি করেন। র‍্যালি শেষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  এসময় বক্তব্য রাখেন,প্রধান অতিথি মোঃ আবুল হাসেম বাদল বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেড়ারেশন কেন্দ্রীয়  কার্যকরি পরিষদের সদস্য ও বাংলাদেশ স্থল বন্দর শ্রমিক ইউনিয়ন (২০৮২) এর কেন্দ্রীয় সাধারণ  সম্পাদক বিশেষ অতিথি, এডভোকেট ইয়াসিন আলী সরকার  সাবেক সভাপতি ও সাধারণ  সম্পাদক কুড়িগ্রাম  আইনজীবী সমিতি এবং কেন্দ্রীয় কার্যকারি পরিষদ সদস্য ও জেলা সভাপতি বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন কুড়িগ্রাম বিশেষ অতিথি মোঃ সোহেল পারভেজ। সহ সভাপতি শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন লালমনিহাটসভাপতিত্ব  করেন,মাওলানা মোঃ রফিকুল ইসলাম ট্রেড  সম্পাদক কুড়িগ্রাম জেলা ও সভাপতি বাংলাদেশ শ্রমিক  কল্যাণ ফেডারেশন নাগেশ্বরী  উপজেলা শাখা নুরে আলম সিদ্দিকী সহ আরও অনেকে।
উল্লেখ্য যে,১৮৮৬ সালের এদিনে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকরা ৮ ঘণ্টা কাজের দাবিতে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। ওই সময়ে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ঘিরে থাকা পুলিশের প্রতি অজ্ঞাতনামা কেউ বোমা নিক্ষেপ করলে পুলিশ শ্রমিকদের ওপর গুলি চালায়। এতে ১০-১২ জন শ্রমিক ও পুলিশ নিহত হয়। ওইদিন তাদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে বিশ্বে শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অর্থাৎ শিকাগোর হে মার্কেটে দিনে ৮ ঘণ্টা কাজের দাবিতে অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করতে গিয়ে কয়েকজন শ্রমিককে জীবন দিতে হয়। তবে দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয় আরও পরে। ১৮৮৯ সালে ফরাসি বিপ্লবের শতবার্ষিকীতে প্যারিসে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ১৮৯০ সাল থেকে শিকাগো প্রতিবাদের বার্ষিকী আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন দেশে পালনের প্রস্তাব করেন রেমন্ড লাভিনে। ১৮৯১ সালে আন্তর্জাতিক কংগ্রেসে এ প্রস্তাব গৃহীত হয়। এরপর ১৮৯৪ সালে মে দিবসের দাঙ্গার ঘটনা ঘটে। 
এরই ধারবাহিকতায় ১০০ বছর পর ১৯০৪ সালে আমস্টারডাম শহরে অনুষ্ঠিত সমাজতন্ত্রীদের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এ উপলক্ষ্যে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়। ওই প্রস্তাবে বিশ্বজুড়ে সব শ্রমিক সংগঠন ১ মে ‘বাধ্যতামূলকভাবে কাজ না করার’ সিদ্ধান্ত নেন। এরপর থেকে সারা বিশ্বে দিনটি ‘মে দিবস’ হিসাবে পালিত হয়ে আসছে।