বাংলাদেশ

‘শান্তিচুক্তি’র ২৩তম দিনেই ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা: সংঘর্ষে জড়াল আইডিয়াল ও ঢাকা কলেজ

ডেস্ক রিপোর্ট

ডেস্ক রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৫
‘শান্তিচুক্তি’র ২৩তম দিনেই ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা: সংঘর্ষে জড়াল আইডিয়াল ও ঢাকা কলেজ
রাজধানীর তিন কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হওয়া ‘শান্তিচুক্তি’ কার্যকর হওয়ার মাত্র ২৩তম দিনেই ফের সংঘর্ষে জড়িয়েছে ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজ ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সায়েন্স ল্যাব এলাকায় প্রায় এক ঘণ্টা ধরে থেমে থেমে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আইডিয়াল কলেজের দুই শিক্ষার্থী আহত হন। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুই কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী একই বাসে করে যাত্রা করছিলেন। যাত্রাপথে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। এরপর আইডিয়াল কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিলে উত্তরা ব্যাংকের সামনে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
উভয় কলেজের শিক্ষার্থীদের পরিচালিত বিভিন্ন উসকানিমূলক ফেসবুক পেজের পোস্ট সংঘর্ষকে আরও তীব্র করেছে বলে জানা গেছে। কলেজ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে—তুচ্ছ ঘটনাকেই কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ হয়েছে।

আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী বাধন মাহবুব বলেন, কলেজ ছুটির পর সায়েন্স ল্যাবে যাওয়ার পথে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। ঢাকা কলেজের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কনসার্টে আমন্ত্রণ পেয়ে আমাদের শিক্ষার্থীরা গেলে সেখানেও মারামারি হয়েছিল। এরপর ডিসিয়ান মিমস ও ডিসিয়ান ফিক্স পেজের উসকানিতেই আজকের ঘটনা ঘটেছে।

নিউমার্কেট থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ হাফিজ বলেন, একই বাসে যাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে সবাইকে নিজ নিজ ক্যাম্পাসে পাঠিয়ে দিয়েছি। শান্তিচুক্তির ভিত্তিতে গঠিত ৯ সদস্যের কমিটির সহায়তায় বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চলছে।

ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম ইলিয়াস বলেন, ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীর প্রতি আমরা সমবেদনা জানাই এবং চিকিৎসার সম্পূর্ণ খরচ আমরা বহন করব। যারা মারামারিতে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মনে হচ্ছে, কনসার্টে হওয়া আগের ঘটনার ধারাবাহিকতাতেই আজকের সংঘর্ষ হয়েছে। সব পক্ষ সংযত থাকলে এ ধরনের ঘটনা এড়ানো সম্ভব।

গত ৯ নভেম্বর দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বারবার সংঘর্ষের পর পুলিশ ও দুই কলেজ কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে একটি মৌখিক 'শান্তিচুক্তি' হয়। শিক্ষার্থীরা তখন ফুল ও মিষ্টি দিয়ে একে অপরকে বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করে এবং আর কখনো সংঘর্ষে না জড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু মাত্র ২৩ দিনের মাথায় সেই চুক্তি ভেঙে ফের উত্তেজনা দেখা দিল দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে।