জাতীয়

‘আশ্রমের ৪৫টা বাচ্চাকে ডিবিকে বলেন নিয়ে যেতে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

রবিবার, ৫ মে, ২০২৪
‘আশ্রমের ৪৫টা বাচ্চাকে ডিবিকে বলেন নিয়ে যেতে’
‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমে বর্তমানে ৪৫ জন শিশু আছে বলে আদালতকে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মিল্টন । শুনানির একপর্যায়ে তিনি বলেন, আশ্রমে বর্তমানে ৪৫টা বাচ্চা আছে। ডিবিকে বলেন তাদের নিয়ে যেতে।


রোববার (৫ মে) তিন দিনের রিমান্ড শেষে মিল্টন সমাদ্দারকে আদালতে হাজির করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির মিরপুর জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ কামাল হোসেন।

এরপর তাকে মানবপাচার আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক শিকদার মাইতুল আলম। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব তাকে মানবপাচার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এছাড়া শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শান্তা আক্তারের আদালত তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিন মিল্টনের আইনজীবী আব্দুস সালাম শিকদার আদালতে বলেন, যে বাচ্চাকে কেন্দ্র করে মামলাটি করা হয়েছে সেই বাচ্চাকে আশ্রমের বাবুর্চি লিখিত স্ট্যাম্প দিয়ে দত্তক নিয়েছেন। ১৮ বছরের দাম্পত্য জীবনে তার কোনো সন্তান না হওয়ায় তিনি বাচ্চাটিকে দত্তক নিয়েছেন। এসময় ফিরিস্তি যোগে সেই স্ট্যাম্প আদালতে দাখিল করেন আইনজীবী।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, ২০২০ সালের ৬ই সেপ্টেম্বর শেরেবাংলা নগর থানাধীন ধানমন্ডি বয়েজ স্কুলের সামনে দুই বছরের এক শিশুকে পড়ে থাকতে দেখেন বাদী। এরপর তিনি থানায় ফোন করেন। কিন্তু থানা পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় তিনি চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারে ফোন করলে মিল্টন সমাদ্দার শিশুটিকে নিয়ে যান। তখন বাদী নিজেও তাদের সাথে যান। পরে মিল্টন সমাদ্দারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ১০ হাজার টাকা দিয়ে শিশুটিকে চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারে ভর্তি করা হয়। 

এভাবে কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর হঠাৎ একদিন ফোন করে মিল্টন সমাদ্দার আমাকে গালাগাল করেন এবং বলেন আমি যেন তার প্রতিষ্ঠানে আর না যাই, শিশুটির খোঁজখবর না নিই। এরপর আরও বেশ কয়েকজন ফোন করে আমাকে হুমকি দেন ও ভয়ভীতি দেখান। প্রাণভয়ে আমি আর সেখানে যাইনি। সম্প্রতি একটি খবর চোখে আসার পর গত ২৪ এপ্রিল প্রতিষ্ঠানে গিয়ে শিশুটিকে পাওয়া যায়নি। শিশুটি কোথায় আছে, সে ব্যাপারেও সদুত্তর মেলেনি। বাদীর অভিযোগ, শিশুটিকে পাচার করা হয়েছে।