পড়াশোনা

এবারের অমর একুশে বইমেলা অধিবর্ষের বইমেলা

স্টাফ রিপোর্টারঃ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
এবারের অমর একুশে বইমেলা অধিবর্ষের বইমেলা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গণ আর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বসেছে বইমেলা।২০২৪ সাল লিপইয়ার বা অধিবর্ষ। ফলে মেলার মাস ফেব্রুয়ারি পাবে ২৯ দিন। ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে। রাত সাড়ে ৮টার পর নতুন করে কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না। ছুটির দিন বইমেলা চলবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। প্রতি শুক্র ও শনিবার বেলা ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত মেলায় শিশুপ্রহর থাকবে। প্রতিদিন বিকেল ৪টায় বইমেলার মূল মঞ্চে সেমিনার এবং সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকছে।
রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে বসা অর্ধ-শতাব্দীর ইতিহাস বিজড়িত এই মেলাকে ঘিরে শহরবাসীর রয়েছে অফুরন্ত আবেগ ও ভালোবাসা। বইমেলা শব্দটি শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে বাংলা একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে গ্রন্থমেলা।

অমর একুশে বইমেলায় এবার ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠানের বইয়ের পসরা নিয়ে সাজানো হয়েছে। ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৯৩৭টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবার। এর মধ্যে একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২০টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৩টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৫১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৬৪টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।এবারের বইমেলা বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট জায়গায় হচ্ছে। মেলায় ৩৭টি প্যাভিলিয়ন থাকছে।

এবারের বইমেলায় যাতায়াতের জন্যে এবারই প্রথম দর্শনার্থীরা মেট্রোট্রেনে করে মেলা প্রাঙ্গণে আসা-যাওয়া করতে পারবেন। গেলো মাসের ২০ জানুয়ারি উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল পুরোদমে যাত্রা শুরুর পর এই ট্রেন শাহবাগ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে টিএসসি হয়ে দোয়েল চত্বর দিয়ে যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। 

বইমেলার এই পথেই রয়েছে মেট্রোরেলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনটি। যা টিএসসি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান আর বাংলা একাডেমীর সামনে রয়েছে। যানজটের এই নগরীতে বইপ্রেমীরা খুব সহজেই যাতায়াত করতে পারবেন মেট্রোতে।

বেশ কয়েক বছর পর এবার অনেকটা নির্ভেজাল বইমেলা আশা করছেন লেখক-পাঠক-প্রকাশকরা। মেট্রোরেল চালু হওয়ায় খুব সহজেই আসা-যাওয়া করা যাবে বইমেলায়। জমজমাট মেলার আশা করছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমিও। তবে সবার সুবিধার মেট্রোরেলকেই মেলা ঘিরে নিরাপত্তা বলয় গড়ার বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

মেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় থাকছে এবার। মেট্রোরেলের কারণে লোকসমাগম যেমন বাড়বে, তেমন মেট্রোরেলের নিরাপত্তাও একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এসব বিবেচনায় রেখে বইমেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে।

বইমেলার প্রবেশ ও প্রস্থানপথে পর্যাপ্ত সংখ্যক আর্চওয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবারের বইমেলা পলিথিন ও ধূমপানমুক্ত থাকবে। মেলাপ্রাঙ্গণ ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় নিরাপত্তার স্বার্থে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকবে। মেলার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং নিয়মিত ধূলা নিবারণের জন্য পানি ছিটানো এবং প্রতিদিন মশক নিধনের সার্বিক ব্যবস্থা থাকবে।