বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, একটি বিশেষ গোষ্ঠী ‘সংস্কার ও বিচার’ এর নামে আগামী জাতীয় নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তার ভাষায়, পরিকল্পিতভাবে সহিংসতা ও অপতৎপরতা চালিয়ে বিএনপিকে দায়ী করার অপচেষ্টা চলছে।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর মিরপুর ১২ নম্বর বাসস্ট্যান্ডে “জুলাই-আগস্ট গণআন্দোলনের শহীদদের স্মরণে” আয়োজিত এক শান্তিপূর্ণ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশের প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
আমিনুল হক বলেন, “দেশবাসী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আশাবাদী। কিন্তু এরই মধ্যে বিএনপিকে বাইরে রাখার অপচেষ্টা শুরু হয়েছে। আমরা একটি গ্রহণযোগ্য ও নির্দলীয় নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি, যেখানে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নিজেরা বেছে নিতে পারবে।”
তিনি আরও বলেন, “স্বাধীনতার পাঁচ দশক পেরিয়ে গেলেও আজও আমাদের রক্ত দিতে হচ্ছে গণতন্ত্রের দাবিতে। বিএনপি রক্তপাতের রাজনীতি চায় না। আমরা চাই একটি বাস্তব ভিত্তিক গণতন্ত্র, যেখানে জনগণের মতামতের পূর্ণ প্রতিফলন থাকবে।”
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে আমিনুল হক বলেন, “এক সময় সাংবাদিকদের মুখে তালা পরানো হয়েছিল। আজ তারা কিছুটা মুক্তভাবে কথা বলতে পারছেন। বিএনপি বিশ্বাস করে, ভবিষ্যতেও সত্য প্রকাশে গণমাধ্যম বাধাহীন থাকবে।”
৬ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ আরমান সোহেল বলেন, “বিএনপি একটি নীতিনিষ্ঠ দল, এখানে কোনো সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ বা মাদককারবারির জায়গা হবে না। কিছু লোক সুযোগ নিয়ে দলে ঢুকে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে—তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “জনগণের আস্থা ফেরাতে হলে প্রথমেই নিজেদের ভেতরের শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে হবে। দলে কোনোভাবেই অপরাধীদের সহ্য করা হবে না।”
পল্লবী থানা যুবদলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার টিটু বলেন, আমাদের যুব সমাজকে রক্ষা করতে মাদক থেকে দুরে থাকতে হবে এবং মাদক যাতে সমাজ ধ্বংস করতে না পারে সেদিকে সজাগ দৃস্টি আমাদের থাকবে। এবং আরমান সোহেলের নেতৃত্বে আমরা মিরপুর ৭ চলন্তিকা থেকে মাদকের বিচ উপরে ফেলেছি এবং ভবিষ্যতে আমরা যুব সমাজ এবং ছাএ জনতাকে নিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়বো।
অনুষ্ঠান শেষে একটি মৌন মিছিল বের করা হয়, যা মিরপুর ১১ ও ১০ নম্বর হয়ে কাজীপাড়া ঘুরে শেওড়াপাড়ায় গিয়ে শেষ হয়।
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহাদী আমিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, কৃষকদলের সভাপতি হাসান জাফির তুহীন, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নয়ন, ছাত্রদলের সভাপতি মো. নাছির উদ্দীন, সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব, মোস্তফা জামান, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, রাজ্জাক, আকতার হোসেন, আতাউর রহমান, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, কফিল উদ্দিন আহমেদ, আফাজ উদ্দিন, হাজী ইউসুফ, তহিরুল ইসলাম তুহিন, মাহাবুব আলম মন্টু, কামাল জামান মোল্লা, এসএ সিদ্দিক সাজু সহ মহানগর উত্তর বিএনপির ২৬টি থানা ও ৭১টি ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা।