জাতীয়

আওয়ামী বিচারপতি অপসারণ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধে আল্টিমেটাম

উপ-সম্পাদক

উপ-সম্পাদক

বুধবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৪
আওয়ামী বিচারপতি অপসারণ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধে আল্টিমেটাম
বুধবার ঢাকার হাইকোর্ট চত্বরে উত্তপ্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে। শিক্ষার্থীরা আওয়ামী মদদপুষ্ট বিচারপতিদের অপসারণ এবং ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে হাইকোর্ট ঘেরাও করেন।
বিক্ষোভের মূল শিরোনাম ছিল ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করা ও "আওয়ামী বিচারপতি"দের অপসারণের আল্টিমেটাম। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সকালে ১১টায় প্রথমে হাইকোর্টের সামনে মিছিল করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে দুপুর ১২টার দিকে আরেকটি মিছিল হাইকোর্টের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আন্দোলনকারীরা উচ্চস্বরে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে হাইকোর্ট চত্বরে প্রবেশ করে এবং বিচারপতিদের অপসারণ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করার দাবি তোলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বিক্ষোভে অংশ নিয়ে দাবি করেন, "বেলা ২টার মধ্যে বিচারালয় থেকে আওয়ামী মদদপুষ্ট বিচারকদের অপসারণ করতে হবে এবং ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে, না হলে ছাত্রসমাজ আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে।"
রাজু ভাস্কর্যের সামনে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সেখানে স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের স্লোগানগুলো ছিল তীব্র প্রতিবাদসূচক, যেমন: "ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই", "স্বৈরাচারের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান", "দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ", "জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে।"
বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা আওয়াজ তোলেন যে, তারা আর কোনো আপোসে যাবে না। বিক্ষোভের মূল কেন্দ্র ছিল ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে এবং সরকার দলীয় বিচারকদের অপসারণ নিয়ে। তারা সরাসরি বর্তমান সরকারের মদদপুষ্ট বিচার ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। শিক্ষার্থীদের দাবি, সরকারের বিচার ব্যবস্থা রাজনৈতিক প্রভাবিত ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট।
এই বিক্ষোভ কর্মসূচির পেছনে দীর্ঘদিনের সংগ্রাম ও বৈষম্যের শিকার হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুঞ্জীভূত ক্ষোভ প্রকাশ পাচ্ছে। ছাত্র সমাজের স্লোগানগুলোতে ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, রাজনৈতিক শুদ্ধাচার এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দলের প্রভাবের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ লক্ষ করা যায়।
আন্দোলনকারীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, "আওয়ামী লীগ মদদপুষ্ট বিচারকদের যদি অপসারণ না করা হয় এবং ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ না করা হয়, তবে তারা আরও কঠোর আন্দোলনের দিকে যাবে।"