জাতীয়

গোয়ালন্দে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায়,আল্লাহর রহমত ও স্বস্তির বৃষ্টির জন্য আকুতি

স্টাফ রিপোর্টারঃ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪
গোয়ালন্দে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায়,আল্লাহর রহমত ও স্বস্তির বৃষ্টির জন্য আকুতি
রাজবাড়ি জেলা প্রতিনিধিঃ  তীব্র তাপদাহে পুড়ছে সারা দেশ। অসহনীয় এই তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ জনজীবন । এমন অবস্থায় গোয়ালন্দে বৃষ্টির জন্য দুই রাকাত ইসতিসকার 
নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। তীব্র গরম আর তাপ প্রবাহে হাঁপিয়ে ওঠা মানুষজন এ সময় আল্লাহর রহমত স্বস্তির বৃষ্টির জন্য আকুতি জানিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। শুক্রবার ২৬শে এপ্রিল জুমার নামাজ আদায়ের পর কেন্দ্রীয় ছমির মোল্লা ঈদগাহ ময়দানে এ নামাজ আদায় করা হয়। 
খোলা আকাশের নিচে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। পরে নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাত করা হয় বৃষ্টির জন্য। নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লিরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে গোয়ালন্দ সহ সারাদেশে বৃষ্টি নেই। তীব্র তাপ প্রবাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। আল্লাহ যেন বৃষ্টির মাধ্যমে এ অবস্থা থেকে সবাইকে পরিত্রাণ করেন। নামাজ শেষে এই প্রার্থনা করা হয়।সবার অশ্রুসিক্ত প্রার্থনা ছিল। বৃষ্টি আর শীতল প্রকৃতির আকুতি। এদিকে বৈশাখের ১২ দিন পার হলেও দেখা নেই ঝড়-বৃষ্টির। নেই কালো মেঘের ডাকাডাকি প্রখর রোদ আর গরমের বর্ষণের শূন্য মেঘ। প্রকৃতির বিরূপ আচরণ আর বৈশাখের তাপ প্রবাহের ত্রাহি অবস্থা। প্রায় দুই সাপ্তাহ ধরে তাপদাহে পুড়ছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ এলাকা। অসহনীয় এই গরম আর তাপ প্রবাহে মানুষের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি ছটফট করছে পশু পাখি ও জীব জন্তু । কড়া তাপ দাহে ফসলী জমি শুকিয়ে গেছে। 
ব্যাহত হচ্ছে বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ। এ পরিস্থিতিতে খরা অনাবৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে বেলা আড়াইটার সময় ইফতিসকার নামাজ আদায় করছেন ধর্মপ্রাণ মুমিন মুসলমান মুসল্লিরা। নামাজ শেষে অব্যাহত অনাবৃষ্টির থেকে মুক্তির জন্য ও আল্লাহর রহমত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
এ সময় দুই হাত তুলে আল্লাহর দরবারে বৃষ্টির জন্য হুহু করে কাঁদতে থাকেন নামাজে অংশ নেওয়া সাধারণ মানুষ জন। 
নামাজে অংশগ্রহণ করা মুসল্লি পৌরসভার প্যানেল মেয়র নাসির উদ্দিন রনি  বলেন, এবারের তীব্র তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কয়েকদিন ধরে বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। আজকে এই নামাজ পড়তে ছমীর মোল্লা ঈদগা মাঠে এসেছি। আমরা সৃষ্টিকর্তার কাছে স্বস্তির জন্য প্রার্থনা করেছি। কৃষকের ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। শিশু ও বয়স্করা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আল্লাহ আমাদেরকে বৃষ্টির মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাবেন ইনশাআল্লাহ। 
ইসতিসকার নামাজ ও দোয়া পরিচালনা করেন,মুফতি আব্দুল লতীফ মুনসুরী নামাজ আদায় শেষে তিনি বলেন, আল্লাহর কাছে আমরা আমাদের পাপের জন্য ক্ষমা চেয়েছি। তাঁর কাছেই আমরা অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তি চেয়েছি। নিশ্চয়ই আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই। এবং তিনি চাইলে এই অসহনীয় গরম ও তাপ প্রবাহ থেকে আমরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারব।