জাতীয়

মিল্টনের লাঠিয়াল বাহিনীর খোজ মিলেছে ,আদেশ পেলেই মানুষ পেটান তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

রবিবার, ৫ মে, ২০২৪
মিল্টনের লাঠিয়াল বাহিনীর খোজ মিলেছে ,আদেশ পেলেই মানুষ পেটান তারা
স্বেচ্ছাসেবকের পিছনে তারা মিল্টনের লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে কাজ করতেন।
১ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টা। ২২তম রোজায় ইফতার করে মিরপুরের পাইকপাড়ার মিল্টন সমাদ্দারের আশ্রম ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’-এ হারানো কবুতর খুঁজতে যান বিপরীত পাশের ভবনের বাসিন্দা সুজন আলী নামের একজন । গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে আশ্রমের কর্মীদের কাছে কবুতরের কথা জানতে চাইলে খারাপ আচরণ শুরু করেন তারা তার সাথে । একপর্যায়ে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়।

পরে আশ্রম থেকে সুজন বের হয়ে আসতে চাইলে গেটের কাছ থেকে ধরে নিয়ে উপর্যুপরি মারধর করেন আশ্রমের এ লাঠিয়াল বাহিনী । ছেলেকে মারের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে মারধরের শিকার হন সুজনের মা সালেহা বেগমও। শেষ পর্যন্ত স্থানীয়রা সেখানে গিয়ে উদ্ধার তাদের দুজনকে। তখন মিল্টন সমাদ্দার সেখানে উপস্থিত হয়ে জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে চাঁদাবাজির মামলায় সুজনকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য কর্মীদের নির্দেশও দেন।

শুধু এই ঘটনাই নয়, মানবতার সেবকরূপে আবির্ভূত মিল্টন সমাদ্দারের ভেতরের রূপ আরও ভয়ংকর বল্রএ জানা গেছে । খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনি এলাকায় সবসময় দাপট দেখিয়ে চলাচল করতেন। পাত্তা দিতেন না কাউকেই। রয়েছে নিজস্ব লাঠিয়াল বাহিনীও। কেউ কোনো বিষয়ে মিল্টন সমাদ্দারের মতের বাইরে গেলে তাকে পড়তে হয়েছে রোষানলে। সামান্য উনিশ-বিশ হলেই তার নির্যাতনের শিকারও হতে হয়েছে অনেককেই। দেখানো হতো মামলার ভয়। তাই নির্যাতনের পরও অনেকে মুখ বুজে সহ্য করেছেন সবকিছু। আশ্রমের কর্মীরাও মিল্টনের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে হয়েছেন বেশ বেপরোয়া। সেজন্য তারা এলাকাবাসীর কাছে মিল্টনের ‘লাঠিয়াল বাহিনী’ হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে।