জাতীয়

অবৈধভাবে ভারতে গিয়ে আটক শিশু সহ ১৩ জনকে সাজা শেষে দেশে ফেরত

স্টাফ রিপোর্টারঃ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
অবৈধভাবে ভারতে গিয়ে আটক শিশু সহ ১৩ জনকে সাজা শেষে দেশে ফেরত
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:  আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ১৩ জনকে দেশে পাঠানো হয়।অবৈধভাবে ভারতের ত্রিপুরায় গিয়ে সেখানকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক শিশুসহ ১৩ জনকে সাজা শেষে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ত্রিপুরা বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সহযোগিতায় দুই দেশের পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ২৩/৪/২০২৪ইং মঙ্গলবার আখাউড়া আগরতলা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে তাদের দেশে পাঠানো হয়। 
পরে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশ ও থানা-পুলিশের হেফাজতে তাদের নিজ নিজ পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া হয়। 
জানা গেছে, প্রতিবছরের মতো এবারও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের গোমতী জেলার নতুন বাজার থানাধীন ডুম্বুর লেকে কুম্ব মেলার আয়োজন করা হয়। গোমতী নদীর উৎস মুখে বাঁধ দিয়ে ডুম্বুর লেকে প্রতিবছর দুই দিনব্যাপী এ তীর্থ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর শিথিলতার সুযোগ নিয়ে শত শত বাংলাদেশি পানছড়ির দুদুকছড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে ডুম্বুপাড়ের কুম্ব মেলায় অংশ নেয়। 
অনেকের মতো খাগড়াছড়ি জেলার দশ যুবক কুম্ব মেলা দেখতে যান। মেলা থেকে ওরা একটি গাড়িতে করে রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় যাওয়ার পথে রাজ্যের গাড়িচালকের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ওই গাড়িচালক তারা বাংলাদেশি জেনে স্থানীয় বিশ্রামপুর থানা-পুলিশের কাছে তাদের নিয়ে হস্তান্তর করে। 
পরে রাজ্যের পুলিশ বাংলাদেশি দশ যুবককে অনুপ্রবেশের দায়ে আটক দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে। আদালত কারাদণ্ড দিয়ে তাদের বিশালগর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠান। 
আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ১৩ জনকে দেশে পাঠানো হয়। 
অপরদিকে চট্টগ্রামের হাটহাজারী এলাকার বাসিন্দা নাহিদা আক্তার নামে এক নারী দুই শিশু সন্তানসহ বিনা পাসপোর্টে চিকিৎসার জন্য ভারতের আগরতলায় গিয়ে আটক হন। 
পরে ত্রিপুরার বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সহযোগিতায় পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি চালাচালির প্রায় চার মাস পর তাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় আজ (মঙ্গলবার) দেশে ফেরত পাঠানো হয়। 
এ সময় আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম রাহাতুল ইসলাম, ত্রিপুরা বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন কার্যালয়ের কর্মকর্তা ওমর শরীফ, ইমিগ্রেশন ইনচার্জ খায়রুল আলম, আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার মো. শাহ আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।