জাতীয়

গোয়ালন্দে গণহত্যাকাণ্ডে শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন

স্টাফ রিপোর্টারঃ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

রবিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৪
গোয়ালন্দে গণহত্যাকাণ্ডে শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন
সোহাগ মিয়া, রাজবাড়ী : ২১শে এপ্রিল ১৯৭১ সাল রাত গরিয়ে ভোরের দিকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি সে সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর তান্ডবের শিকার হন গোয়ালন্দ উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে নিরহ বাসিন্দারা। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদেরকে প্রতিরোধ করতে শুরু হয় সম্মুখ যুদ্ধ। সে সময় জিন্দার আলী মৃধা সহ ২৪ জন মানুষ শহীদ হন।
গোয়ালন্দ উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যার শিকার ওই গ্রামের ২৪ শহীদের স্মরণে নির্মিত নামফলক অযত্নে পড়ে আছে।২১ এপ্রিল ২০২৪ সোমবার ভোরে গোয়ালন্দে সম্মুখ যুদ্ধে নিহতদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোজার হোসেন মৃধা।
এলাকাবাসীর কাছ থেকে শোনা যায়  হানাদারের বুলেটে শহীদ হয় ওই বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের নারী, শিশুসহ স্বাধীনতাকামী ২৪ জন মানুষ। তারা হলো জিন্দার আলী মৃধা, নায়েব আলী বেপারি, মতিয়ার বেগম, জয়নদ্দিন ফকির, কদর আলী মোল্লা, হামেদ আলী শেখ, কানাই শেখ, ফুলবুরু বেগম, মোলায়েম সরদার, বুরুজান বিবি, কবি তোফাজ্জল হোসেন, আমজাদ হোসেন, মাধব বৈরাগী, আহাম্মদ আলী মণ্ডল, খোদেজা বেগম, করিম মোল্লা, আমোদ আলী শেখ, কুরান শেখ, মোকসেদ আলী শেখ, নিশিকান্ত রায়, মাছেম শেখ, ধলাবুরু বেগম, আলেয়া খাতুন ও বাহেজ পাগলা। পরে লাশগুলো তারা বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের বেড়িবাঁধের পাশে খালে ফেলে দেয়। 
এর পর স্থানীয় কিছু রাজাকারের সহায়তায় হানাদাররা গোয়ালন্দ বাজারের কয়েক শ দোকানপাট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে লুটপাট চালিয়ে তাতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।
এ সময় শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ পরিবারের সন্তান হিসেবে পরিচিত বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলজার হোসেন মৃধা জানান, আমার পিতা জিন্দার আলী মৃধা  পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধ করতে গিয়ে নির্মমভাবে শহীদ হন। বর্তমান মুক্তিযুদ্ধ বান্ধব সরকার জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন জানাই। আমাদের পরিবারকে শহীদ পরিবারের মর্যাদা বা আমার পিতাকে মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি দেয়া হোক। এ সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়ে তার পিতা সহ ২৪ জনের স্মরণে পুষ্প মাল্য অর্পণ করেন।