রোজার ঈদের পর থেকে রাজধানীসহ সারাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম দিন দিন লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ভোক্তারা এখন দিশেহারা। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরা প্রায় দুঃসহ জীবন-যাপন করছেন। নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকের চোখ কপালে উঠেছে।
হাতিরপুল বাজারে সবজি কিনতে আসা মেহেরুন নেছা নামের একজন গৃহিণী অসহায়ত্ব প্রকাশ করে বললেন, বাজারে কোনো পণ্যই আমাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নেই। সংসারে যে পণ্যের চাহিদা তার চেয়ে অর্ধেক পণ্য কিনে বাসায় ফিরতে হয়।
আবদুর রহিম নামের এক ক্রেতা বললেন, বাচ্চারা মাছ ছাড়া ভাত খেতে চায় না। কিন্তু মাছ আর সবজি কেনার সামর্থ নেই। সন্তানদের খেতে দিতে না পারার নীরবে চোখের পানি ফেলছি। কিন্তু দেখার যেন কেউ নেই। কিভাবে আয়-উপার্জন করে নিজেদের চাহিদা মেটাবেন, তা নিয়েও অনেকে শঙ্কিত।
শুক্রবার (১৩ মে)রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় একই চিত্র। বাজারে প্রায় প্রত্যেকটি সবজি থেকে শুরু করে ডিম, মাছ, মাংসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগের মতো ব্যবসায়ীরা বেগুনের কেজি বিক্রি করছেন ৫০ থেকে ৭০ টাকা। শসার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। বরবটিও আগের মত ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
তবে পাকা টমেটোর দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। ঈদের আগে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া টমেটো এখন ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম বাড়ার এ তালিকায় রয়েছে কাঁচা কলা ও পেঁপে। ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পেঁপে এখন ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর ৩০ টাকার কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা।
অন্যদিকে পটল, ঢেঁড়স, ঝিঙে, চিচিঙ্গার দাম কিছুটা কমেছে। পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, যা আগে ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা। ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া ঢেঁড়সের দাম কমে ৩০ থেকে ৪০ টাকা হয়েছে। ঝিঙে ও চিচিঙ্গার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, যা আগে ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
এছাড়াও ভারতের পেয়াজ আমদানি বন্ধ হওয়ায় কয়েকদিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি ১৫-১৮ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।