হুমায়ুন কবীর মাসুদ:
রাজধানীর কাজীবাজারের বাসিন্দা বিল্লাল হোসেন। দুই-তিনদিন পরপর বাজারে আসেন তিনি। গত পরশুদিন বাজার থেকে এক কেজি পেয়াজ কিনেন ২৫ টাকা দরে। কিন্তু আজ বুধবার সকালে বাজারে গিয়ে এক কেজি পেয়াজ কিনতে হয় ৪০ টাকা দরে।
ভারতের সাথে আমদানি চুক্তি শেষে হিলি সীমান্ত বন্দর দিয়ে গত ৩০ মে সর্বশেষ পেঁয়াজ এসেছে। এখন ভারত থেকে পেয়াজ আসা বন্ধ রয়েছে। কিন্তু এ সংবাদটি প্রকাশ হওয়ার পরই বাড়তে থাকে পেয়াজের দাম।
অথচ পেয়াজ চাষীদের বাম্প্রার ফলনের ফলে প্রচুর পরিমাণ পেঁয়াজ দেশেই মজুদ আছে এবং কৃষকদের নায্য মূল্যে বিক্রির জন্য নতুন করে ভারতের সাথে পেয়াজ আমদানি করতে সময় নিচ্ছে বাংলাদেশ। তারপরও সুযোগ বুঝে নিত্য প্রয়োজনীয় এ পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়া হলো।
এছাড়া কয়েকদিন আগে তেলের বাজার, কাঁচামাল ইত্যাদির দাম বৃদ্ধির ফলে নাজেহাল হতে হয়েছে সাধারণ ভোক্তাদের।
সম্প্রতি কয়েকদিন যাবৎ একটি বিষয় প্রতীয়মান হচ্ছে যে, দেশের বাইরে থেকে যে সকল পণ্য আসে তা কোন কারণে আসা বন্ধ হলেই পরদিন থেকে বাজারগুলোতে দাম বেড়ে যায়। এটা যেন বাংলাদেশে এক রকম ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে। যার ফলে ভোক্তাদের পড়তে হয় বিপত্তিতে।
মূলত মজুদকারী প্রতিষ্ঠান এবং সিন্ডিকেটের কারণেই এ সকল সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় বলে বিভিন্ন সময় জানিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থা ও গণমাধ্যম।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দূরবীন নিউজ এ সংক্রান্ত জরিপ করেছে। এতে সাধারণ ভোক্তারা বলছেন, বাজারের এ সকল অস্বাভাবিক পরিস্থিতির বিরুদ্ধে আরও বেশি বাজার মনিটরিং প্রয়োজন এবং শাস্তির বিধানটি আরও বাড়ানো উচিত।