সোনালী ব্যাংক ঋণ জালিয়াতির মামলায় হলমার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ, জেসমিন ইসলামসহ নয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে পাঁচ কোটি টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত। মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, বিচারক আবুল কাসেম এ রায় ঘোষণা করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সরকারি কৌঁসুলি মীর আহমেদ আলী সালাম আসামিদের সাজা ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত নয়জনের মধ্যে রয়েছেন তানভীর মাহমুদ, জেসমিন ইসলাম (হল-মার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান ও তানভীর মাহমুদের স্ত্রী), তুষার আহমেদ (তানভীরের ভাই ও হল-মার্ক গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক), তসলিম হাসান (টি অ্যান্ড ব্রাদার্সের পরিচালক)। , মীর জাকারিয়া (ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক), সাইফুল ইসলাম রাজা (প্যারাগন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক), সাইফুল হাসান (নকশি নিটের এমডি), আবদুল মালেক, এবং আবদুল মতিন।
এছাড়া সোনালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবিরসহ আটজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন সরকারকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং বাকিদের ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে জামাল উদ্দিন ও আলতাফ হোসেন জামিনে আছেন এবং সাইফুল ইসলাম, আবদুল মতিন, হুমায়ুন কবির, ননী গোপাল নাথ, তসলিম হাসান, সাইফুল হাসান, মেহেরুন্নেসা মেরি ও মীর জাকারিয়া বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। তানভীর মাহমুদ, তুষার আহমেদ, জেসমিন ইসলামসহ আটজন হেফাজতে রয়েছেন।
৪ অক্টোবর, ২০১২ তারিখের এই মামলায় জালিয়াতি, জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাৎ, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অভিযুক্তদের মধ্যে যোগসাজশের অভিযোগ রয়েছে। আদালতের সিদ্ধান্তটি একটি দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে যার মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেটদের সাক্ষ্য এবং রাষ্ট্র এবং প্রতিরক্ষা উভয় পক্ষের দ্বারা উপস্থাপিত যুক্তি অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এই রায়টি ব্যাংকিং খাতের মধ্যে আর্থিক অনিয়ম এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বাংলাদেশের প্রচেষ্টার একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।