আন্তর্জাতিক

শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে গতকাল বুধবার পর্যন্ত ২৩২ জনে পৌঁছেছে

স্টাফ রিপোর্টারঃ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২৪
শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে গতকাল বুধবার পর্যন্ত ২৩২ জনে পৌঁছেছে
জাপানের শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলছে
জাপানের মধ্যাঞ্চলে ইশিকাওয়া অঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে গতকাল বুধবার পর্যন্ত ২৩২ জনে পৌঁছেছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার  এ তথ্য জানান 

ইশিকাওয়া প্রিফেকচারাল সরকারের তথ্য মতে, স্থানীয় সময় গতকাল সকাল নয়টার দিকে মৃতের সংখ্যা হালনাগাদ করা হয়েছে।

নতুন বছরের প্রথম দিন জাপানের প্রধান দ্বীপ হনশুর ইশিকাওয়া অঞ্চলে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে।

এতে বাড়িঘরসহ বহু স্থাপনা নানা মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেক মানুষ ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়ে। প্রতিকূল আবহাওয়া ও ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার কারণে উদ্ধারকাজও ব্যাহত হয়। যেসব বাড়িঘরে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো চিহ্নিত করা হচ্ছে। শিরোমারুর উপকূলীয় জনপদে ভূমিকম্পের পর কয়েক মিটার উঁচু সুনামি আঘাত হানে। পরিত্যক্ত কাঠ, ধাতব পদার্থ ও প্লাস্টিকের মতো জঞ্জালে ভরে গেছে এলাকাটি। এদিকে এক জরুরি বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা দ্রুত রাস্তা মেরামত করতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশনা দিয়েছেন।
ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কাছে শোক বার্তা পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাম্প্রতিক বিধ্বংসী এবং শক্তিশালী ভূমিকম্প মোকাবেলায় জাপানের প্রয়োজনে বাংলাদেশ ইশিকাওয়া প্রিফেকচার এবং জাপান সাগর উপকূলের নিকটবর্তী অঞ্চলগুলিকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছে বাংলাদেশ।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাকে  লেখা এক চিঠিতে শেখ হাসিনা বলেন, সাম্প্রতিক বিধ্বংসী ও শক্তিশালী ভূমিকম্পের খবর শুনে তিনি গভীরভাবে মর্মাহত।
তিনি বলেন, “আমি বুঝতে পেরেছি, আরও ভূমিকম্প, আফটারশক এবং সুনামির ঝুঁকি রয়েছে।”
তিনি এ পর্যন্ত ভূমিকম্পে নিহত সকল এবং আহতদের জন্য গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, "বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে, আমি এই কঠিন সময়ে জাপানের জনগণের সাথে আমাদের সংহতি ও বন্ধুত্ব প্রকাশ করছি।"
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ও জাপান উভয়ই প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রবণ।
“আমাদের জনগণ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সহনশীল এবং এই ধরনের সংকটে সবসময় একে অপরের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার নেতৃত্বে জাপানও দ্রুত এই সংকট মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে।”