আন্তর্জাতিক

পারমাণবিক ডুবোড্রোন এনে চমক দিলো উত্তর কোরিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

শনিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৩
পারমাণবিক ডুবোড্রোন এনে চমক দিলো উত্তর কোরিয়া
পানির নিচে পারমাণবিক ড্রোন এনে রীতিমতো চমক উপহার দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। নিজ দেশের কর্মকর্তাদের শক্তিশালী পারমাণবিক বোমা নির্মাণের আদেশ দিয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। এমন নির্দেশের দুই সপ্তাহের মাথায় এলো এই ডুবোড্রোনের ঘোষণা।   

চলতি সপ্তাহের শুরুতেই পানির নিচে চলতে পারে এমন এক পারমাণবিক শক্তিধর নতুন অ্যাটাক ড্রোনের আরেকটি পরীক্ষা চালিয়েছে পিয়ংইয়ং। আজ শনিবার এই ড্রোনের কথা নিশ্চিত করেছে সেখানকার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেএনসিএ। 

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, পানির নিচে চলতে সক্ষম এই পারমাণবিক ড্রোনের নাম  হায়িল-২ । গত ৪ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত এই ড্রোনের সফল মহড়া চালানো হয় বলে নিশ্চিত করেছে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ।  

দেশটির ভাষায় ‘হায়িল’ শব্দের অর্থ সুনামি। পানির নিচে চলতে সক্ষম পারমাণবিক ড্রোনকে এই নামেই তৈরি করছে পিয়ংইয়ং। এর মাত্র দেড় সপ্তাহ আগে হায়িল-১ নামে পারমাণবিক বোমা বহনকারী নতুন ডুবোড্রোনের পরীক্ষা চালানো হয়েছিল।

২৩ মার্চ প্রথম পানির নিচে চলার উপযোগী করে তৈরি হয় এই ড্রোনকে। উত্তর কোরিয়ার নিজস্ব প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে তৈরি করা হয়েছিলো এই ডুবোড্রোন। 

হেইল-১ পরমাণু শক্তিচালিত কোনো ড্রোন নয়, তবে এটি পরমাণু বোমা বহনে সক্ষম। বিস্ফোরণের আগে অন্তত ৫৯ ঘণ্টা পানির নিচে চলাচল করেছিলো এই ড্রোনটি।  

পিয়ংইয়ং দাবি করেছে, ডুবোড্রোন হায়িল-২ সর্বশেষ পরীক্ষায় বেশ ভালোভাবেই উৎরে গিয়েছে। কেসিএনএ এর দেয়া তথ্য অনুযায়ি, নতুন এই ড্রোন পানির নিচে ৭১ ঘণ্টা ৬ মিনিট বিচরণ করেছে। 

বর্তমানে কোরিয়া উপদ্বীপ সংলগ্ন সমুদ্রে যৌথ মহড়া পরিচালনা করছে দক্ষিণ কোরিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাদের এই মহড়ায় দেখা গিয়েছে মার্কিন পারমাণবিক বোমা বহনকারী যুদ্ধবিমান। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া।

তাদের ভাষ্যমতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমন বিমানের উপস্থিতি এই অঞ্চলের শান্তি বিনষ্টের কারণ হবে। এমন উত্তেজনার মাঝেই ওয়াশিংটন ও সিউলকে নিজেদের সামরিক সক্ষমতা কেমন থাকবে তা জানান দিতেই নতুন এই পারমাণবিক ড্রোনের পরীক্ষা চালাল পিয়ংইয়ং।