আন্তর্জাতিক

ভ্রমণ ভিসায় যুক্তরাষ্ট্র গিয়ে ‘ওয়ার্ক ভিসা’ ছাড়াই করা যাবে চাকরি!

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ, ২০২৩
ভ্রমণ ভিসায় যুক্তরাষ্ট্র গিয়ে ‘ওয়ার্ক ভিসা’ ছাড়াই করা যাবে চাকরি!
ভ্রমণ ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে এবার চাকরি করা যাবে বলে জানিয়েছে দেশটির নাগরিক ও অভিবাসী সেবা সংস্থা US Citizenship  & Immigration Services

দেশটিতে ‘Work Visa’ ছাড়াই চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন বেড়াতে বা ব্যবসায়িক কাজে যাওয়া ভ্রমণকারীরা। সেই সাথে এই ভিসা দিয়েই চাকরির সাক্ষাৎকারও দিতে পারবেন যুক্তরাষ্ট্রে চাকরি প্রত্যাশীরা। 

তবে এ ক্ষেত্রে চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে তাঁদের ভিসার স্ট্যাটাস বদল করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে। 

পুরো বিষয়টি ‘US Citizenship & Immigration Services’ এর টুইটার পোস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছে ওয়াশিংটন। 

এতদিন পর্যন্ত পর্যটক বা ব্যবসায়িক ভিসা নিয়ে সাক্ষাৎকার দিতে পারলেও যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করতে পারতেন না বিদেশি নাগরিকেরা। 

তবে সম্প্রতি গুগল মাইক্রোসফট ও অ্যামাজনের মতো বড় বড় মার্কিন কোম্পানি বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার কারণে কর্মী ছাঁটাই করছে। ফলে, হাজারো বিদেশি নাগরিক হারিয়েছেন সে দেশের চাকরি। 

এই কর্মীরা এখন দেশটিতে থাকার জন্য তাঁদের কাজের ভিসার অধীন নির্ধারিত ২ মাসের  বা ৬০ দিন মধ্যে নতুন কর্মসংস্থান খুঁজে পেতে ঝক্কি পোহাচ্ছেন। তাঁদের এই ঝক্কি ঝামেলা কমাতেই বি-১ এবং বি-২ ভিসার নিয়ম শিথিল করলো যুক্তরাষ্ট্র। 

আশার খবর, চাকরিচ্যুত বিদেশিরা ভিসার স্ট্যাটাস পরিবর্তন করে Work Visa থেকে ট্যুরিস্ট ভিসা বা স্টুডেন্ট ভিসায় পরিণত করতে পারবেন। এমনকি আবেদনের মাধ্যমে চাকরি হারানোর পরও বিদেশিদের আমেরিকায় থাকার সময় সীমাও বাড়াতে পারবেন।

আর চাকরি পাওয়ার পর যোগ দেওয়ার আগে তাঁদের ভিসার স্ট্যাটাস বদল করে পুনরায় Work Visa’য় পরিণত করতে আবেদন করতে হবে। 

যুক্তরাষ্ট্রে বি-১ ভিসা সাধারণত স্বল্পমেয়াদি ব্যবসায়িক ভ্রমণের জন্য দেওয়া হয়, আর বি-২ ভিসা পর্যটনের জন্য দেওয়া হয়। USCIS এ ব্যাপারে কিছু বিষয় নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। যেমন বি-১ বা বি-২ ভিসাধারীরা বি-১ স্ট্যাটাস বা বি-২ স্ট্যাটাসে থাকাকালীন আমেরিকার লেবার মার্কেটে কাজ করতে পারবেন না। 

বিদেশী কর্মীদের কোনো নতুন কাজে যোগ দেওয়ার আগে বি-১ বা বি-২ থেকে কর্মসংস্থান-অনুমোদিত স্ট্যাটাসে ভিসার রূপান্তর করে নিতে হবে। আর এটি করতে হবে  নতুন কাজ শুরু করার আগেই।
যদি আবেদনকৃত Work Visa’র আবেদন বাতিল হয়ে যায়, তবে সেই ব্যক্তিকে অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে যেতে হবে অথবা তাঁদের নতুন চাকরি শুরু করার আগে একটি বৈধ নিয়োগ-অনুমোদিত অবস্থায় ওই দেশে অবস্থান করতে হবে। 

US Citizenship & Immigration Services আরোও জানিয়েছে, আমেরিকায় বিদেশি কর্মীদের ছাঁটাই হলে তাঁরা নানা বিভ্রান্তিতে পড়েন। অনেকে ভাবেন,  তাঁদের হয়তো ছাঁটাইয়ের ৬০ দিনের মধ্যেই নতুন চাকরি খুঁজতে হবে নয়তো ভিসা বাতিল হওয়ায় দেশ ছাড়তে হবে। 

তবে বিষয়টি সে রকম নয়, তা স্পষ্ট করেছে USCIS. সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চাকরির শেষ দিন থেকেই এই গ্রেস পিরিয়ড শুরু হয়। 

কেউ যদি ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে চাকরি হারান তবে তিনি যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে একাধিক ব্যবস্থা নিতে পারেন। নন-ইমিগ্রেন্ট ভিসার ধরন বদল করা, অবস্থান পরিবর্তনের আবেদন করা, চাকরির কাগজপত্রের অনুমোদনের ‘জরুরি পরিস্থিতির’ আবেদন করা অথবা চাকরি পরিবর্তনের সুবিধার আবেদন করার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে থাকার ব্যবস্থা নিতে পারেন।