বলিউড অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভুর জীবনে দুঃখ আর অশ্রু যেন নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক একটি প্রচার অনুষ্ঠানে সহ-অভিনেতা বরুণ ধওয়ানের পারিবারিক অনুভূতির কথা শুনে নিজের ভেতরের কষ্ট যেন আর সামলাতে পারলেন না সামান্থা। ভিডিওতে তাকে হাসিখুশি দেখালেও তার চোখে বিষাদের ছায়া স্পষ্ট ছিল, যা অনুরাগীদের চোখ এড়ায়নি। ২০২১ সালে সামান্থা এবং তার সাবেক স্বামী নাগা চৈতন্যের বিবাহবিচ্ছেদের পর থেকে তিনি নিজের জীবনে অনেক কিছু বদলেছেন, নিজেকে কাজে আরও বেশি জড়িয়ে রেখেছেন, তবু তার ভেতরে দাগ রেখে গেছে সেই ভাঙা সম্পর্কের স্মৃতি।
অনুষ্ঠানে সামান্থা ও বরুণ তাদের আসন্ন ওয়েব সিরিজ ‘সিটাডেল হানি বানি’র প্রচারের জন্য উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বরুণ ধওয়ান তার স্ত্রী নাতাশা এবং তাদের পারিবারিক সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, “পরিবার আমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ, এবং ‘সিটাডেল হানি বানি’তে আমার চরিত্রটি পরিবারের জন্য আত্মনিবেদিত। বাস্তব জীবনে আমিও সেই ধরনের সম্পর্ক চাই, এবং পরিবারের প্রতি আমার দায়িত্ববোধও তেমন।” বরুণের এই কথাগুলো সামান্থার মনোযুগে বিশেষ প্রভাব ফেলে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিভিন্ন নেটিজেন ভিডিওটি দেখে সামান্থার অভিব্যক্তি থেকে অনুমান করেন, বরুণের পারিবারিক কথা শুনে তিনি বিষাদে ভেঙে পড়েন। দর্শকরা লক্ষ্য করেন, বরুণ যখন নিজের স্ত্রী ও পরিবারের কথা বলছিলেন, তখন সামান্থার চোখ চকচক করছিল, যেন তিনি কষ্ট চাপতে চেষ্টা করছেন। নেটিজেনদের অনেকেই বলেন, তাদের মতে, সামান্থা নিজের পরিবার চেয়েছিলেন, কিন্তু তা ভেঙে যাওয়ার পর এখনো সে মানসিক আঘাত বহন করে চলেছেন।
২০১৭ সালে সামান্থা এবং নাগা চৈতন্যের বাগদান পর্ব হয়েছিল এবং দুই বছর পর, ২০১৯ সালে তাদের বিয়ে হয়। তাদের সম্পর্ককে ঘিরে মিডিয়া এবং ভক্তরা অনেক আশাবাদী ছিলেন। জানা গেছে, সামান্থা সন্তান ধারণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তবে সেই সময়ে তাদের সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয় এবং শেষমেশ ২০২১ সালে বিচ্ছেদ ঘটে।
বিচ্ছেদের পর সামান্থা নিজেকে কাজে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করলেও নাগা চৈতন্য শোভিতা ধুলিপালার সঙ্গে নতুন জীবন শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন এবং আগামী ৪ ডিসেম্বর তাদের বিয়ে হতে চলেছে। এত কিছু ঘটে যাওয়ার পরও সামান্থা যেন আগের স্মৃতিগুলো থেকে মুক্তি পাননি। সামান্থা ভক্তদের অনেকে তার জন্য সহানুভূতি প্রকাশ করেন। এক নেটিজেন লেখেন, "সত্যিই সামান্থার জন্য খারাপ লাগছে। তিনিও তো একটি পরিবার চেয়েছিলেন।"
অনুরাগীরা মনে করছেন, কাজের ব্যস্ততার আড়ালে লুকিয়ে থাকলেও সামান্থার জীবন যেন আজও সেই পুরোনো স্মৃতির ঘেরাটোপে আটকে রয়েছে। যদিও সামান্থা তার ভেতরের কষ্ট আড়াল করার চেষ্টা করছেন, তবে এ ধরনের উপলক্ষ তাকে আবারও বিষণ্ণতায় আচ্ছন্ন করে দেয়।
সামান্থা তার ক্যারিয়ারে সাফল্যের শীর্ষে থাকলেও ব্যক্তিগত জীবনের এই অধ্যায় এখনো তাকে তাড়া করে বেড়ায়।