ব্যাংক

জাল টাকা কি ভাবে চিনবেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

রবিবার, ১৭ জুলাই, ২০২২
জাল টাকা কি ভাবে চিনবেন

নানা রকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা সত্বেও বাজারে ছড়িয়ে পড়ে জাল টাকা। বিভিন্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে যা বেড়ে যায় কয়েক গকারন এই সময়ে প্রচুর অর্থের লেনদেন হয়। তবে বেশ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে সহজেই জাল নোট শনাক্ত করা সম্ভব।আসল টাকা ছাপাতে বিশেষ ধরনের কাগজ ব্যবহৃত হয়। এটি হাতে ধরলে একটু শক্ত অনুভূতি হবে।


অপরদিকে নকল নোটে উন্নতমানের কাগজ ব্যবহার করলেও সেটি কখনোই আসলের মতো হবে না। এগুলো একটু নরম ধরনের নোট হয়।


সবচেয়ে বেশি জাল হয়ে থাকে এক হাজার টাকার নোট। এরপরেই আছে ৫০০ ও ১০০ টাকার নোটের অবস্থান।এসব নোট চেনার  সহজ উপায় হচ্ছে নিরাপত্তা সুতা৷ ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটে বিশেষ ধরনের সুতা সংযুক্ত থাকে, যা অত্যন্ত মজবুত। 


নিরাপত্তা সুতার ৪টি স্থানে নোটের মূল্যমান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো মুদ্রিত থাকে। অত্যন্ত নিখুঁতভাবে এগুলো সংযুক্ত করা হয়।

অপরদিকে জাল নোটে বিশেষ এই সুতা থাকলেও সেগুলো ভালোভাবে লাগানো সম্ভব হয় না। তাই নখের আচড়ে বা হাতে মোচড় দিলেই উঠে যাযআসল কাগুজে মুদ্রায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি’, ‘বাঘের মাথা’ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘মনোগ্রাম’ এর জলছাপ দেয়া থাকে।আলোর বিপরীতে ধরলে সেগুলো আরো স্পষ্ট হয়ে উঠে। কিন্তু নকল নোটে জলছাপ অস্পষ্ট ও নিম্নমানের হয়ে থাকে।


আসল নোটের উভয় পৃষ্ঠে ডিজাইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় লেখা, নোটের মূল্যমান এবং সাতটি সমান্তরাল সরল রেখা উঁচু-নিচুভাবে মুদ্রিত থাকএর ফলে হাতে ধরলে খসখসে অনুভব হয়। অপরদিকে নকল নোটে এমন কিছু মনে হবে না।

আসল নোট চেনার আরেকটা উপায় হলো পৃষ্ঠে থাকা বৃত্তাকার ছাপ। ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটের ডানদিকে যথাক্রমে ৩ টি, ৪টি এবং ৫টি বৃত্তাকার ছাপ থাকে।

এগুলো হাতে স্পর্শ করলে উঁচুনিচু লাগে। জালনোটে এমন কোন বৈশিষ্ট্য সংযোজন করা সম্ভব নয়।

এছাড়াও রং পরিবর্তনশীল কালি দেখার মাধ্যমে খুব সহজেই জাল নোট শনাক্ত করা যায়। আসল নোটে টাকার অঙ্ক লিখতে হলোগ্রাম কালি ব্যবহার করা হয়। টাকা নাড়াচাড়া করলে সেই রঙ পরিবর্তিত হয়।


১০০ ও ১০০০ টাকার নোট আস্তে আস্তে নড়াচড়া করলে নোটের সোনালি হতে ক্রমেই সবুজ রঙে পরিবর্তিত হয়। ৫০০ টাকা মূল্যমানের নোটের ক্ষেত্রে লালচে থেকে সবুজে পরিবর্তিত হযনকল নোটেও এসব কালি ব্যবহৃত হয়। দেখতে চকচকে হলেও নড়াচড়া করার পর সেটির রং পরিবর্তিত হয় নসকল নোটের দুই প্রান্তেই বিশেষ ধরনের ডিজাইন করা থাকে। একসাথে মেলানো হলে যা পূর্ণাঙ্গ ডিজাইন হয়ে উঠে।

নকল নোটে এ রকম মেলানো বেশ কঠিন। সেগুলোতে এমন নিখুতভাবে নকশা করা কখনোই সম্ভব নয়। 

টাকার নকশা অনুযায়ী এর গায়ে অতি ক্ষুদ্র আকারে Bangladesh Bank লেখা থাকে, যা খালি চোখে দেখা যায় নাতবে ম্যাগনিফাইয়িং গ্লাস দিয়ে দেখলে এটি স্পষ্ট হয়ে উঠে। কিন্তু জাল টাকার উপর ম্যাগনিফাইয়িং গ্লাস ধরলে এক্ষেত্রে শুধুমাত্র একটি রেখা দেখা যাবএছাড়াও নকল নোট শনাক্ত করার জন্য উন্নত প্রযুক্তি মেশিন রয়েছে। যেগুলো খুব সহজেই আসল ও জাল টাকার পার্থক্য করতে পারে।