সারাদেশ

রাজবাড়ীতে ভুলবশত ভাইয়ের লাঠির বাড়ির আঘাতে ভাইয়ের মাথায় আঘাত

স্টাফ রিপোর্টারঃ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
রাজবাড়ীতে ভুলবশত ভাইয়ের লাঠির বাড়ির আঘাতে ভাইয়ের মাথায় আঘাত
রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানখানাপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের দত্তপাড়া গ্রামে জমিজমা সংক্রান্তে এমন ঘটনায় রাজবাড়ী সদর থানায়  অভিযোগ করেছেন কনিকা বেগম(৩৬) নামে এক নারী।
এই বিষয়ে কনিকা বেগম লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, আমার তিন সন্তান ও স্বামী মজনু খান ট্রাক চালক নিয়ে আমার সংসার। আমার স্বামীর পেশার কারণে সে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জেলায় থাকেন। আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে শান্তিতে আমাদের বাড়িতেই বসবাস করে আসছি।আমার শ্বশুরবাড়ির  জমিজমা সংক্রান্তে আমার চাচা শ্বশুরদের সাথে আমাদের দীর্ঘদিনের একটা ঝামেলা রয়েছে। গত ১৬-৭-২০২৩ সালে আমার চাচাতো দেবর মোঃ সোহাগ কে গুরুতর মারপিট করলে উক্ত বিষয়ে মামলা হয়। 
উক্ত মামলায় সাক্ষী দিতে গেলে আমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন কে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও খুন জখমের হুমকি দেয় মোসলেম খানসহ তার পরিবার। তাছাড়া মসলেম খানের পরিবার আমাদের উপর কয়েকবার মারপিটও করেন। 
উক্ত বিরোধের জের ধরিয়া গত ০৫/০৯/২০২৪ তারিখ সকাল অনুমান ৯ টা ৩০ মিনিটের দিকে মোঃ মোসলেম খান (৫০) এবং তার সন্তানরা  দেলোয়ার খান ( ৩৪),লিটন (৩৮), তালেব (২২), এবং মিলনের স্ত্রী নার্গিস,   তাদের হাতে কাঠের বাটাম ও বাঁশের লাঠি নিয়ে বেআইনিভাবে দলবদ্ধ হয়। এবং আমার শ্বশুরবাড়ির উঠানে এসে আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।বাড়িতে কোন পুরুষ মানুষ না থাকায় আমি তাদেরকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করি।
এ সময় মসলেম খানের হুকুমে দেলোয়ার খান আমাকে এলোপাথাড়ি চড় থাপ্পড় কিল ঘুষি মারে । নারগিস আমার মাথায় চুলের মুঠি ধরিয়া মাটিতে ফেলে দেয়। এরপর দেলোয়ার জোরপূর্বক আমার এক জোড়া স্বর্ণের কানের দুল ওজন ৪ আনা যাহার বাজার মূল্য ৩৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
উক্ত ঘটনা স্থলে আমার ফুফু শাশুড়ি মোছাঃ পেয়ারা বেগম( ৪৫) ফ্যান পানি পানি নিতে আসলে মোসলেম খানানের হুকুমে তার ছেলেরা আমার ফুফু শাশুড়িকে এলোপাতারী কিল-ঘুষি ও লাথি মারে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফোলা যখন করে।এবং তার শরীরে থাকা কাপড়চোপড় টানিয়া চিরিয়া বিবস্ত্র করে ফেলে । এ সময় বিবাদী নার্গিস জোরপূর্বক আমার ফুপু শাশুড়ির গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ওজন আট আনা যাহার আনুমানিক মূল্য ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
আমাদের বাড়িতে এমন ঘটনা ঘটছে লোক মারফত এই খবর পেয়ে আমার দেবর ফারুক খান (৩২)ঘটনাস্থলে আসলে দেলোয়ারের হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে আমার দেবরকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় বাড়ি মারতে গেলে। আমার দেবর উক্ত স্থান হতে সরে গেলে সেই লাটির আঘাত মসলেম খানের ছেলে মিলনের মাথায় লাগে।
 এ সময় সে গুরুতর আহত হন। এ সময় আমাদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন জড়ো হয়। তখন মসলেম খান সহ তার ছেলেরা আমাদেরকে খুন-জখমের হুমকি দিয়ে ঘটনা স্থল ত্যাগ করে।
কণিকার স্বামী ট্রাক চালক মজনু খান জানান, আমি আমার পেশার কারণে ঘটনার দিন ঢাকায় অবস্থান করি। আমি ফোনে শুনেছি আমার চাচারা আমার পরিবারের উপর হামলা করেছে। এবং আমার এক চাচাতো ভাইয়ের লাঠির আঘাতে আরেক চাচতো ভাই আহত হয়েছে। আহত ঘটনা কেন্দ্র করে তারা থানায় মামলা করেছে। এই মামলাতে আমি বাড়িতে না থাকাও সত্বেও আমাকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলার সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমাদেরকে ফাঁসাতে এমন মামলা করেছেন।তবে সরজমিনে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে আহত মিলনকে ১০/৯/২০২৪ তারিখে দেখতে গেলে তাকে সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি।এ ব্যাপারে মসলেম খানের পরিবারের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। 
এ ব্যাপারে খানখানাপুর তদন্ত কেন্দ্রের আইসি কামরুজ্জামান সিকদার জানান, মসলেম খানের অভিযোগের মামলা প্রক্রিয়াধীন। তবে মজনুর পরিবার থেকে রাজবাড়ি সদর থানায় যে অভিযোগ দেয়া হয়েছে তা তদন্ত চলছে।