তথ্যপ্রযুক্তি

কেমন হতে পারে iPhone 15? দাম কত হবে?

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

বুধবার, ২২ মার্চ, ২০২৩
কেমন হতে পারে iPhone 15? দাম কত হবে?
iPhone 15 সিরিজ বাজারে আসতে এখনো বেশ কয়েক মাস বাকি। তবে এ নিয়ে ইতিমধ্যে উন্মাদনা শুরু হয়ে গেছে গ্রাহক ও প্রযুক্তি প্রেমীদের মধ্যে।

সবার মনে একটাই প্রশ্ন, কেমন হবে iPhone 15? কি কি নতুন প্রযুক্তি যুক্ত হবে এতে? এখন থেকেই দাম এবং ফিচার নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন অনেকে। 

Apple এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগেই, বেরিয়ে আসছে এসব বিষয়ে নানা রকম গোপন খবর। জানা গেছে, দাম বাড়ার পাশাপাশি, বেশ কিছু পরিবর্তন আসতে চলেছে পরবর্তী সংস্করনে।

সর্বশেষ ফাস হওয়া তথ্য বলছে, বড়সড় চেঞ্জ আসবে iPhone 15 Pro এবং iPhone 15 Pro Max এর ভলিয়ম ও মিউট বাটনে। 

এতদিন যাবৎ শব্দ বাড়ানো ও কমানোর জন্য, ফোন গুলোতে আলাদা আলাদা বাটন ব্যবহার করা হতো। 

কিন্তু আপডেট ভার্সনে আর এমন থাকবে না। এরপর থেকে বাটন দুটি একসাথে সংযুক্ত করে দেয়া হবে। 

একই রকম ভাবে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে চলেছে মিউট সুইচে। বর্তমানে সুইচ উপরে নিচে তুলে ও নামিয়ে মোড চেঞ্জ করতে হয়। ২০০৭ সাল থেকেই চলে আসছে এই নিয়ম।

তবে iPhone 15 Pro এবং iPhone 15 Pro Max এ সুইচের জায়গায় বাটন দেয়া হবে। ব্যাবহারকারীরা সেটি প্রেস করার মাধ্যমে, মডেল দুটির ringer অন ও অফ করতে পারবেন।

এছাড়া ফাস হওয়া তথ্যে আগেই বলা হয়েছিল, প্রিমিয়াম সিরিজের মডেল দুটিতে, ফিজিক্যাল বাটনের পরিবর্তে হ্যাপটিক প্রতিক্রিয়াসহ, সলিড-স্টেট বাটনের ব্যবহার হতে পারে। 

সলিড-স্টেট পাওয়ার ও ভলিউম বাটনগুলো দেখতে ফিজিক্যাল বাটনের মতোই, চাপ দিলে ফিজিক্যাল বাটনের মতোই অনুভূত হবে।

তবে, iPhone 15 এবং iPhone 15 Plus -এ ভলিউম বাটন এবং মিউট সুইচ থাকবে আগের মতোই। লিক হওয়া তথ্য বলছে, স্ট্যান্ডার্ড মডেল দুটিতে এক্ষেত্রে কোন পরিবর্তন আসবে না।

ধারণা করা হচ্ছে ক্যামেরায় বিপ্লব ঘটিয়ে বাজারে আসতে পারে আইফোন ১৫. ফলে আগের চেয়ে ভালো কোয়ালিটির ইমেজ, এবং ভিডিও ক্যাপচারের সুবিধা পাবেন গ্রাহকরা।

অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের চেয়ে Apple কয়েক গুন এডভান্স হলেও, সবার শেষে ৪৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা ফিচার যুক্ত হয়েছিল, আইফোন ১৪ সিরিজের প্রিমিয়াম মডেলগুলোতে।

এবার ১৫ সিরিজের সবগুলো মডেলে যুক্ত হতে পারে সেটি। সেই সাথে সনি'র স্টেট-অফ-দ্য-আর্ট' ইমেজ সেন্সর ব্যবহার করায়, প্রতিটি পিক্সেলের স্যাচুরেশন সিগন্যাল লেভেল প্রায় দ্বিগুণ হারে বাড়বে।

আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্সের টেলি-ফটো ক্যামেরার জন্য সংযুক্ত করা হতে পারে, পেরিস্কোপ লেন্স সিস্টেম। এছাড়াও মডেলটিতে সিক্স এক্স অপটিক্যাল জুম করা যাবে।

চাপের মুখে নতি স্বীকার করে গতবছর Apple ঘোষণা করেছিল, পরবর্তী প্রজন্মের ফোনগুলিতে লাইটনিং পোর্টের পরিবর্তে, USB Type-C চার্জিং পোর্ট দেওয়া হবে। 

তাই ধরে নেয়া হচ্ছে, সেই ঘোষণার বাস্তব প্রয়োগ ঘটতে পারে আইফোন ১৫ সিরিজে। এতে  ক্যাবলের মাধ্যমে, প্রতি সেকেন্ডে ৪০ জিবি পর্যন্ত ডেটা ট্রান্সফার করা যাবে।

আইফোন ১৫ প্রো এবং প্রো ম্যাক্সে, অ্যাপলের পরবর্তী প্রজন্মের A-17 চিপ ব্যবহার হতে পারে। বাকি নন প্রিমিয়াম মডেল দুটিতে থাকতে পারে, ১৪ সিরিজে ব্যবহার হওয়া A-16 চিপসেট।

৩ ন্যানোমিটারের নতুন চিপ, ফোনের কর্মক্ষমতা ও ব্যাটারির আয়ু উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি করবে৷ দ্রুত কাজ করার পাশাপাশি, ডিভাইস থাকবে ঠান্ডা। বিদ্যুৎ খরচ কমে আসবে ৩০ শতাংশ।

iPhone 15  এর সবগুলো মডেলেই থাকবে, কোয়ালকমের পরবর্তী প্রজন্মের X-70 প্রসেসর। এটি সেকেন্ডে ১০ গিগাবাইট ডাউনলোড গতি, এবং ৩ দশমিক ৫ গিগাবাইট আপলোডিং সুবিধা দিবে।

এর আগে iPhone' 14- এ রিভার্স চার্জিং প্রযুক্তি যুক্ত হওয়ার কথা থাকলেও, শেষ পর্যন্ত হতাশ হতে হয়েছিল। তবে ফোর্বস তথ্যসূত্রে, আইফোন-১৫ সিরিজে এই প্রযুক্তির দেখা পাওয়া যেতে পারে।

এটি এমন এক ফিচার, যেখানে মোবাইল পাওয়ার ব্যাংকের মতো কাজ করে। অর্থাৎ, কেউ তার ফোনের পেছনে ওয়্যারলেস-চার্জ-যোগ্য ইয়ারবাড রাখলে, সেগুলো চার্জ হতে থাকবে।

ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব বেশ ভালোভাবেই পড়বে, আইফোনের পরবর্তী সংস্করনের দামের উপর। আগের তুলনায় ২০০ ডলার বেড়ে নতুন মূল্য হতে পারে, ১ হাজার ২৯৯ মার্কিন ডলার।

তবে অ্যাপল ইন-করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী টিম কুক বলেছেন, দাম বৃদ্ধি তাদের বিক্রিতে কোন প্রভাব ফেলবে না। 

তার মতে, একই ক্যাটাগরির ফোনগুলোর মধ্যে সর্বোত্তম ফোনটি কিনতে, ভোক্তারা নাকি আরো বেশি অর্থ ব্যয় করতেও রাজি আছেন।