তথ্যপ্রযুক্তি

বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাসটি কোন কোম্পানির তৈরি?

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

বুধবার, ১৫ মার্চ, ২০২৩
 বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাসটি কোন কোম্পানির তৈরি?

বিশ্বের সবচেয়ে পরিচিত আর বেশি ব্যবহার যোগ্য যানবাহন টি হলো বাস। তবে আপনার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে। একটি বাসে সর্বোচ্চ কতজন যাত্রী বহন করতে পারে?

যে বাস নেই পৃথিবীর কোন দেশে।কিংবা যে বাসে ২৭ কিংবা ৫২ যাত্রী সংখ্যা নয়। তাহলে একটি বাসে সর্বোচ্চ  কত আসন বিশিষ্ট হতে পারে?  কিংবা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বাসই বা কোনটি? 

গণপরিবহন হিসেবে বিশ্বের মধ্যে  যে যানবাহনটি সবচেয়ে বেশি পরিচিত  সেটি হলো বাস। বিশ্বের মধ্যে এমন কোন দেশ নেই যেখানে বাস দেখা যায় না৷ বিশেষ করে নগরীতে এর ব্যবহার খুবই বেশি। 

নগরীতে যে সকল বাস চলাচল করে সেগুলোর কোনটার আসন সংখ্যা ২৭ আবার কোনটার ৩৭। এদিকে আবার দূরপাল্লার বাস চলে ৫২ কিংবা ৫৬ আসন সংখ্যা নিয়ে। তবে আসন সংখ্যা ৩৭ হোক আর ৫৬ হোক যাত্রী তো বহন করে থাকে পরিমাণের থেকে ও  দ্বিগু। 

তবে ব্রাজিল এর আবিষ্কার এবার ভিন্ন। ব্রাজিলের কুরিটিবা কিংবা মানাউশের মত বড় বড় আধুনিক  শহর গুলোতে গড়ে উঠেছে বাস রেপিড টানজিস্ট ব্যবস্তা। শহর গুলোতে চলাচলের জন্য ২০১০ সালে দেশিয় কোম্পানি "নিউ বাস " তৈরি করে বিশাল আকৃতির  এক বাস। যার নাম দেওয়া হয় " নিউ বাস মেগা বিআরটি "। 

আর্টিকোলেটেট এর এই বাস গুলো বডি যদিও
 " নিউ বাস "এর তৈরি তবে এর জেসিস কিন্তু Volvo,  স্কেনিয়য় আর মার্সিটিজ এর মত বিখ্যাত সকল ব্রান্ডের কোম্পানির। বাসটির দৈর্ঘ্য দেখতে গেলে দাড়ায় প্রায় ৯১ ফুট। 

এরকম বড় বড় মেগা বাস এখন কেবল ব্রাজিলেই নয় বরং এর তালিকায় চিলিসহ  বিশ্বের বেশ কয়টি দেশেও দেখা মিলবে এই মেগা বাস গুলোর। তবে ৯১ ফুটের এই 
" নিউ বাসক " প্রথম দিকে নিজেকে সবচেয়ে বড় দাবী করলে ও এর পর তাকে টেক্কা দিতে আসে Valvo কোম্পানি। রাজপথে নামে Volvo কোম্পানির তৈরি   "গ্রান্ড আর্টিক  থ্রী হানডেট " বাই আর্টিকোলাটেট এর এই বাসটি। এই বাস ও আবার তৈরি হয়েছে মূলত ব্রাজিলের বাস রেপিড টানজিস্ট সিস্টেমে চলাচলেরই জন্য। 

তবে এই বাসটি লম্বায় ৩০ মিটার কিংবা বলা যায় ৯৮ ফুট। এবং যাত্রী ধারন সংখ্যা ৩০০ জন। এই বাস টিকেই মূলত বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘতম বাস হিসেবে দাবী করা হয়। তবে নিজেকে সবচেয়ে দীর্ঘতম দাবীদার এর তালিকায় এরাই শেষ নয়। বরং এই দীর্ঘতম তালিকায় দাবীদার রয়েছে ইউরোপের আরও একটি বাস। যার নাম 
" অটো টার্ম এক্টা গ্রান্ড " যা লম্বায় দাড়ায় প্রায় ১০০ ফুটের কাছাকাছি। এবং  বাসটির যাত্রী ধারন ক্ষমতা হলো ২৫৬ আসন সংখ্যা বিশিষ্ট। 

জার্মানের ট্রেসডেন শহরে ২০১২ সালে যাত্রা শুরু করে এই বাসটি। বাসটি তৈরি করে " গুপেল নামের " এক কোম্পানি। তবে এর থেকে আরও বড় বাস তৈরি করে "গ্রিনিচ বুক অফ ওয়ার্ড " উঠে আসে অন্য একটি বাসের নাম। 
যার নাম D F Super city train. তবে এর নাম যেমন ট্রেন তেমনি এর ডিজাইন ও। 

বাসটি মূলত ট্রেনের মত একাদিক কোটেল এর তৈরি হয় এই বাস। যা লম্বায় প্রায় ৩২ মিটার কিংবা ১০৫ ফুট। বাসটির প্রথম কেবিন এ সিট আছে ১১০ টি  সিটের সিস্টেম থাকলে ও এই কেবিনে দাড়িয়ে যাওয়া যাবে আরও ১৪০ জন।
আবার অন্য কেবিন এ আছে ৬০ টি সিটের ব্যবস্তা এবং দাড়িয়ে যাওয়ার ব্যবস্তা রয়েছে আরও ৪০ জনের। সর্বমোট ৩৫০ জন যাত্রী ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন। এই বাস  রাজধানীর কিংসাসে চলাচল শুরু করে সেই ১৯৮৯ সাল থেকে। 

বাসটি তৈরি করে " Touch Company DAF। ১৯৮৯ সালে চলাচল শুরু পরের বছর অর্থাৎ ১৯৯০ সালের দিকে বাসটি আবার একসাথে ৪৪০ জন যাত্রী ধারন ক্ষমতা নিয়ে নজীর গড়লেও তা সর্বজন স্বকৃীত হয়নি।