বিপিএল নিলামের শুরু থেকেই সবচেয়ে বেশি উত্তাপ ছিল স্থানীয় খেলোয়াড়দের ‘এ’ ও ‘বি’ ক্যাটাগরিকে ঘিরে। শুরুতে ‘বি’ ক্যাটাগরি থেকে কোনো ক্রিকেটারকে দলে নিতে না পারা নোয়াখালী এক্সপ্রেস শেষমেশ বাধ্য হয় শেষ দুই ক্রিকেটার—জাকের আলী ও মাহিদুল ইসলামকে ভিত্তিমূল্য ৩৫ লাখ টাকায় দলে নিতে।
এদিকে অবিক্রিতই থেকে গেছেন জাতীয় দলের পেসার ইবাদত হোসেন (‘সি’ ক্যাটাগরি)। ‘বি’ ক্যাটাগরির জাতীয় দলের কয়েকজন ক্রিকেটারকে নিয়ে ছিল বাড়তি আগ্রহ। তাঁদের ভিত্তিমূল্য ছিল ৩৫ লাখ টাকা। তাওহিদ হৃদয়—রংপুর রাইডার্স ৯২ লাখ, শামীম হোসেন—ঢাকা ক্যাপিটালস ৫৬ লাখ, পারভেজ হোসেন ইমন—সিলেট টাইটানস ৩৫ লাখ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন—ঢাকা ক্যাপিটালস ৬৮ লাখ।
নিলামের সবচেয়ে বড় লড়াই ছিল ওপেনার মোহাম্মদ নাঈমকে ঘিরে। তাঁর জন্য আগ্রহ দেখায় সিলেট, রংপুর ও নোয়াখালী। শেষ পর্যন্ত ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চট্টগ্রাম রয়্যালস ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় তাঁকে দলে নেয়। এর আগে রংপুর রাইডার্স ৭০ লাখ টাকায় দলে নেয় লিটন দাসকে।
কিন্তু চমক ঘটে ‘বি’ ক্যাটাগরির প্রথম নাম উঠতেই। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে কিনতে এগোয়নি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি। একই পরিণতি হয়েছে মুশফিকুর রহিমের—দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারই থেকে যান অবিক্রিত। দুজনের ভিত্তিমূল্য ছিল ৩৫ লাখ টাকা। তবে নিলামের পরের ধাপে তাঁরা ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ফের তোলা হতে পারেন।
রেডিসন হোটেলে দুপুরে শুরু হয় এবারের বিপিএলের নিলাম। নিলাম পরিচালনা করেন আরমান রাফী নিজাম। স্থানীয় খেলোয়াড়দের নিয়ে নিলাম শুরু হয় ‘এ’ ক্যাটাগরির নাঈম ও লিটনকে দিয়ে।
ফিক্সিং সন্দেহের কারণে ৯ ক্রিকেটারকে নিলামের তালিকা থেকে বাদ দেয় বিসিবি। আজ হাইকোর্টে তাঁদের রিট খারিজ করে দেন বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজি ও রাজিউদ্দীন আহমেদের বেঞ্চ। ক্রিকেটারদের অভিযোগ—প্রমাণ ছাড়াই তাঁদের বাদ দিয়ে সামাজিকভাবে মানহানি করা হয়েছে।