রাজনীতি

এ টি এম আজহারের মুক্তিতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে: এনসিপি সদস্যসচিব আখতার

স্টাফ রিপোর্টারঃ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

মঙ্গলবার, ২৭ মে, ২০২৫
এ টি এম আজহারের মুক্তিতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে: এনসিপি সদস্যসচিব আখতার
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড থেকে জামায়াতে ইসলামীর নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের খালাস পাওয়াকে “ন্যায়বিচারের প্রতিষ্ঠা” হিসেবে দেখছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। আজ মঙ্গলবার এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
আখতার হোসেন বলেন, “এ টি এম আজহারের মুক্তির মধ্য দিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ৭১–এর প্রেক্ষাপটে জামায়াতের ওপর যে ঐতিহাসিক দায় বর্তায়, সেখানে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। তবে ন্যায়বিচার শুধু প্রতীকী নয়, এটি কাঠামোগত সংস্কারেরও দাবিদার।”
তিনি আরও বলেন, “সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করানো যাবে না। অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা পূরণে পুরোনো রাষ্ট্রকাঠামো ভেঙে একটি নতুন গণতান্ত্রিক কাঠামো গড়ে তুলতে হবে, যেখানে বিচারব্যবস্থা হবে স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ।”
আখতার অভিযোগ করে বলেন, “শেখ হাসিনার সরকার পরিচালিত আদালত ভিন্নমতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে ‘জুডিশিয়াল কিলিং’-এর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। এই সংস্কৃতি থেকে সরে আসতে হবে। জনগণ কখনোই সেই শাসনব্যবস্থা মেনে নেবে না যা ‘জুলাই সনদ’ অমান্য করে।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “এখন সময় মৌলিক সংস্কারের। রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত একটি সম্মিলিত রূপরেখার ভিত্তিতে আগানো, যাতে বিচার প্রক্রিয়া দৃশ্যমান হয় এবং সংস্কারের মাধ্যমে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ সুগম হয়।”
আখতার হোসেনের এই বক্তব্য দেশের বিচারব্যবস্থা, রাজনৈতিক সংস্কার এবং গণতন্ত্রচর্চার একটি বড় প্রশ্ন সামনে নিয়ে এসেছে। এনসিপি নেতৃত্বাধীন বিকল্প রাজনৈতিক শক্তির পক্ষ থেকে এই ধরণের বক্তব্য ভবিষ্যতের রাজনীতিতে কতটা প্রভাব ফেলবে, তা এখন সময়ই বলে দেবে।