জাতীয়

১৩ নভেম্বর ঘিরে প্যাট্রোলিং বাড়ানো হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম

ডেস্ক রিপোর্ট

ডেস্ক রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৫
১৩ নভেম্বর ঘিরে প্যাট্রোলিং বাড়ানো হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, আগামী ১৩ নভেম্বর ঘিরে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্ত অবস্থানে রাখা হয়েছে। এই কারণে প্যাট্রোলিং বাড়ানো, কেএপিআই (গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো) এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা এবং কোথাও—কোথাও খোলা তেল বিক্রি বন্ধ রাখা সহ বিভিন্ন প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। তিনি মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সচিবালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন।

১৩ নভেম্বর ঘিরে আমাদের কার্যক্রম চলছে। সন্দেহভাজন কাউকে দেখলেই আমাদের পুলিশকে সবাই জানাবে—সন্ত্রাসীদের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না, তিনি বলেন।

উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত প্রস্তুতি মোটামুটি সন্তোষজনক পর্যায়ে আছে। সব বাহিনী তাদের প্রশিক্ষণের শেষ পর্যায়ে আছে; প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে একটি মহড়া দেয়া হবে। তিনি জানান, বডি ওয়ার্ন ক্যামেরা কেনার প্রক্রিয়া চলছিলো, সেটিও কয়েক দিনের মধ্যে সমাপ্ত হবে।
নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আমরা সবচেয়ে বেশি আলোচনা করেছি। সব বাহিনী তাদের প্রশিক্ষণ প্রায় শেষ পর্যায়ে নিয়ে আসছে।

উপদেষ্টা বলেন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার কাজ আরও বেগবান করা হবে। কিছু অস্ত্র এখনো বাহিরে রয়েছে—এসব দ্রুত উদ্ধার করার লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। তিনি-মত দেন, আরাকান থেকে মাদকের চালান কিছুটা কমেছে, তবে তা পর্যাপ্ত নয়; সমাজ থেকে মাদক নির্মূল করা সকলের দায়িত্ব।
নিরাপত্তা বাহিনীর সংখ্যার সম্ভাব্য বিবরণ তুলে তিনি বলেছেন, নির্বাচনে প্রায় দেড় লাখ পুলিশ, প্রায় এক লাখ সেনা সদস্য, ৩৫ হাজার বিজিবি, সাড়ে ৫ লাখ আনসার এবং প্রায় চার হাজার নৌবাহিনী সদস্য মোতায়েন থাকতে পারে—তবে চূড়ান্ত সংখ্যা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বলা যাবে না।

গত সময়ে কিছু স্থানে বাসে আগুন এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে—এসব প্রতিহত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, তিনি জানান। রাস্তার পাশে খোলা তেল বিক্রিও বন্ধ রাখা হয়েছে—কারণ এসব তেল দিয়ে অনেক সময় অঘটন ঘটানো হয়। ট্রাইব্যুনাল, মেট্রোরেল এলাকা, রেলওয়ে, অন্যান্য কেপিআইতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
এদের প্রতিহত করার দায়িত্ব শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নয়; রাজনৈতিক দল, সচেতন জনসমাজ এবং আপনাদেরও দায়িত্ব রয়েছে।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সীমান্ত দিয়ে কোনো বহিরাগত সন্ত্রাসী যাতে দেশে প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এয়ারপোর্টে আগুনের ঘটনায় অস্ত্র– গোলাবারুদ সম্পর্কিত দুর্যোগজনক ক্ষতির বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে—তদন্ত শেষে পরিপূর্ণ প্রতিবেদন দেয়া হবে।
উপদেষ্টা কয়েকবার জোর দিয়ে বলেন, সন্দেহভাজন কাউকে দেখে পুলিশকে জানালে সেখান থেকেই দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং সন্ত্রাসীদের জামিনে সুবিধা না হওয়ার বিষয়ে প্রশাসনকে অনুরোধ জানানোর কথাও উল্লেখ করেন।