আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ জামায়াতে ইসলামীর নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় খালাস প্রদান করেছে। এর ফলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড এবং তা বহাল রাখা আপিল বিভাগের পূর্ববর্তী রায় বাতিল হয়েছে।
আদালত রায়ে উল্লেখ করেছে, মামলার প্রমাণাদি পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে যে, আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি এবং তিনি নির্দোষ। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চ সর্বসম্মতভাবে তাঁর দণ্ডাদেশ বাতিল করে খালাস দেন।
এ বিষয়ে আইন উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলেন, “এই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে জুলাই গণআন্দোলনের অকুতোভয় নেতৃত্বের কারণে। এখন এই সুযোগকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের সবার।”
এই রায় রাজনৈতিক অঙ্গনে এবং সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এটি মানবাধিকার, ন্যায়বিচার এবং আইনি প্রক্রিয়ার এক গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২০১৪ সালে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রদান করে। পরবর্তীতে আপিল বিভাগ সেই রায় বহাল রাখলেও আজকের রিভিউ শুনানিতে তা বাতিল করা হয়, যা আইনের শাসন এবং বিচারিক নিরপেক্ষতার এক নজির বলেই অনেকে মনে করছেন।