আন্তর্জাতিক

ইউক্রেনে কাজ করছে ন্যাটোর বিশেষ বাহিনী

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

বুধবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৩
ইউক্রেনে কাজ করছে ন্যাটোর বিশেষ বাহিনী
রাশিয়ার আশঙ্কাই হলো সত্যি। ইউক্রেনের ভেতরে নিয়মিত কাজ করে চলেছে যুক্তরাজ্যসহ ন্যাটোর বিশেষ সামরিক ইউনিট। বিগত ১ বছর ধরেই এই বাহিনীর উপস্থিতি নিয়ে জোর গুঞ্জন ছিলো। তবে বিষয়টিকে বরবারই অস্বীকার করে এসেছে ইউক্রেন। 

অবশেষে ফাঁস হওয়া মার্কিন নথিপত্রের সূত্রে বেরিয়ে এসেছে আসল সত্য। ইউক্রেনে সত্যিকার অর্থেই অভিযান চালিয়ে এসেছে ন্যাটোর এই বিশেষ বাহিনী। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি তাদের নিজস্ব অনুসন্ধান শেষে এই তথ্য জানায়। ফাঁস হওয়া এসব নথির মাঝে বেশ কিছু “অতি গুরুত্বপূর্ণ” বলে চিহ্নিত করা হয়েছিলো। তেমনই এক নথি থেকে বেরিয়ে এসেছে এই বিশেষ বাহিনীর তথ্য। 

যদিও এসব বিশেষ বাহিনী ঠিক কোন অংশের অভিযানে নিয়োজিত বা সংখ্যায় তাদের সংখ্যা কত সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি। 

সাধারণত এমন গোপনীয় নথি বা কার্যক্রম ঘিরে নিজেদের মন্তব্য প্রচার করা থেকে বিরত থাকে যুক্তরাজ্য। এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বিশেষ বাহিনী নিয়ে জানতে চাওয়া হলে তা এড়িয়ে গিয়েছেন সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা। 

তবে মঙ্গলবার এক টুইটে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ফাঁস হওয়া কথিত গোপনীয় তথ্যে মন্ত্রণালয়ের ভাষায় ‘বড় ধরনের বিভ্রান্তি’ থাকতে পারে। পাঠককে সম্ভাব্য গুজবের বিষয়েও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। 

ফাঁস হওয়া এক নথি অনুযায়ী, ইউক্রেনে বিশেষ বাহিনীর সবচেয়ে বড় কন্টিনজেন্ট রয়েছে যুক্তরাজ্যের। তাদের মোট বাহিনীর সংখ্যা ৫০ টি। এছাড়া লাটভিয়ার ১৭ টি, ফ্রান্সের ১৫ টি, যুক্তরাষ্ট্রের ১৪ এবং নেদারল্যান্ডসের ১ টি বাহিনী কাজ করে চলেছে। এদের সবাই সম্মিলিত সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য। বিশেষ বাহিনীর এই সেনা সংখ্যা কম মনে হলেও, প্রতিটি কনটিনজেন্টে সেনা সংখ্যা অনেক বেশি বলেই ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়াও বিশেষ এই বাহিনী সামরিক দক্ষতা বিবেচনায় অত্যন্ত কার্যকর। 

ব্রিটেনের প্রভাবশালী দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকার সূত্রে বেরিয়ে এসেছে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্তারা ইউক্রেনে সব মিলিয়ে ৯৭ টি বিশেষ সামরিক ইউনিটের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন। এসব ইউনিটের মাঝে শুধুমাত্র যুক্তরাজ্যের ইউনিট ৫০ টি। গোপনীয় এসব নথি চলতি বছরের ফেরুয়ারি এবং মার্চ মাসের শুরুতে ডিসকর্ড নামের একটি মেসেজিং অ্যাপে প্রথম প্রকাশ পায়। 

অনলাইন গেমারদের কাছে বেশ জনপ্রিয় এই মেসেজিং অ্যাপ থেকেই পরবর্তীতে এসব নথি সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।