ঢাকার ধামরাইয়ে বাস ডাকাতি: তিন ডাকাত গ্রেফতার

ঢাকার ধামরাইয়ে ৪৩ যাত্রীকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনায় তিন ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আহত বাসের সুপারভাইজার মো. মোমিন হোসেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

শনিবার (২ নভেম্বর) গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়। শুক্রবার ধামরাইয়ের সুতিপাড়া ইউনিয়নের বেলিশ্বর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃতরা ২৫ অক্টোবর অন্য এক বাস ডাকাতিতেও জড়িত ছিল।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন: ধামরাইয়ের সোমভাগ ইউনিয়নের কালামপুর আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকার বাসিন্দা সজিব (২৫), মো. মিজানুর রহমান (২৫) এবং ফজলু (২৮)। আহত সুপারভাইজারের বিস্তারিত পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) মো. জসিম উদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত ৩১ অক্টোবর পঞ্চগড় থেকে ইসলাম পরিবহন নামে একটি যাত্রীবাহী বাস ৪৩ যাত্রী নিয়ে রওনা হয়। বাসটি ভোর ৪টার দিকে সিরাজগঞ্জের কড্ডার মোর এলাকায় পৌঁছালে যাত্রীদের ছদ্মবেশে সাত ডাকাত বাসটিতে ওঠে। ভোর ৫টার দিকে ডাকাতরা চালক মো. হারুনের গলায় ছুরি ধরে তাকে জিম্মি করে এবং চালকের আসনে সজিবকে বসায়।

ডাকাতরা সুপারভাইজারের গলায় ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত করে। এরপর তারা বাসটি মির্জাপুর-কাওয়ালীপাড়া সড়কে চালাতে বাধ্য করে এবং ধামরাইয়ের বেলিশ্বর এলাকায় এসে বাসটি খাদে পড়ে যায়। ডাকাতরা যাত্রীদের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা, মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন সামগ্রী লুট করে।

বাসটি দুর্ঘটনার শিকার হলে হেল্পার কৌশলে জানালা দিয়ে লাফিয়ে নেমে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করে। এ সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়, তবে স্থানীয়রা দুইজনকে আটক করে। আটককৃতদের কাছ থেকে দুটি ছুরি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা বাস ডাকাতির সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত আরও চারজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে। গ্রেফতারদের কাছ থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত চারটি ছুরি এবং ৩,২৪০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।